হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

  ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১

প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতো ১১ বছর আত্মগোপনে

হবিগঞ্জে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে নিজের মেয়েকে লুকিয়ে রেখে অপহরণ মামলা করেন এক নারী। এই মামলায় সাড়ে ১১ বছর ধরে আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন চার ব্যক্তি। এর মধ্যে জেল খেটেছেন তিনজন। অবশেষে পুলিশের তৎপরতায় বেরিয়ে এসেছে মূল রহস্য। দীর্ঘ সাড়ে ১১ বছর পর জানা গেল অপহরণ মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওই নারী ঢাকায় আত্মগোপনে রয়েছেন।

গত সোমবার তাকে নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া ওই নারীর নাম জহুরা খাতুন শিমু। তিনি সদর উপজেলার রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা। সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে তাকে হবিগঞ্জ নিয়ে আসা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাকে পরিবারের হেফাজতে দেয়া হয়েছে।

পুলিশ জানায়, শিমুকে অপহরণ করা হয়েছে বলে ২০১২ সালের ১১ নভেম্বর একটি মামলা করেন তার মা আমেনা খাতুন। একই গ্রামের আবদুর রশিদ, সুরাব আলী, আব্বাস মিয়া ও হারুন মিয়াকে এ মামলায় আসামি করা হয়। আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। পরে চারজনই উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। তবে নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন সাড়ে ১১ বছর ধরে।

সম্প্রতি মামলাটির বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে অপহৃত ওই নারীকে উদ্ধারের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক। এরপর শিমুর সন্ধানে নামে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ। সোমবার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে শিমুকে উদ্ধার করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সনৎ কান্তি দাশ বলেন, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শিমু জানান, তাকে কেউ অপহরণ করেনি। পরিবারের পরামর্শে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য তিনি সিদ্ধিরগঞ্জে ১১ বছর আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের একটি গার্মেন্ট কারখানায় চাকরি করতেন। নিয়মিত পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ হতো। বাড়িতে টাকাও পাঠাতেন তিনি।

তিনি জানান, প্রতিপক্ষ পরিবারের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল তাদের। অপহরণ মামলাটি পুলিশ মিথ্যা উল্লেখ করে আদালতে দুবার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। তবে বাদীপক্ষের নারাজি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দিয়েছিল আদালত।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close