নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১

বাংলাদেশ-ভারতে ছুটবে আবার ট্রেন

চিলাহাটি-হলদিবাড়ী থেকে প্রথম যাত্রা

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে টানা ৪ মাসের নিষেধাজ্ঞা উঠল বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ট্র্রেন চলাচলের। উভয় দেশই এরই মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে। প্রথম ট্রেনটি হলদিবাড়ী-চিলাহাটি রুটে চলবে।

ভারতে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেছেন, এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উভয় দেশের পর্যটন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। এ ছাড়া এটি দুদেশের ক্ষেত্রেই উন্নয়নেও সহায়ক হবে।

ডেপুটি হাইকমিশনার আরো জানান, উভয় দেশই এরই মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর প্রথম ট্রেনটি হলদিবাড়ী-চিলাহাটি রুটে চলবে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাংলাদেশও ট্যুরিস্ট ভিসা দেবে।

উল্লেখ্য, ক্রমবর্ধমান করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে টানা ৪ মাসের নিষেধাজ্ঞার পর গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে এয়ার বাবলের আওতায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিমান চলাচল আবার শুরু হয়েছে। তবে দুদেশের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা এখনো চালু হয়নি।

এর আগে ৫৬ বছর পর গত ২৯ জুলাই ভারতীয় উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের দুটি ইঞ্জিন ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ছেড়ে আসে। পরে হলদিবাড়ী সীমান্ত দিয়ে নীলফামারীর চিলাহাটি সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের চিলাহাটি রেলস্টেশনে পরীক্ষামূলক যাত্রা সম্পন্ন করে আবার ফিরে যায়।

রেলওয়ে সূত্র মতে, ১৯৬৫ সালের পর চিলাহাটি-হলদিবাড়ী পরিত্যক্ত রেলপথটি চালুর উদ্যোগ নেয় দুদেশের সরকার। এ উদ্যোগে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে সীমান্ত পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণকাজ প্রায় সমাপ্তের পথে। এর আগে ভারত হলদিবাড়ী রেলস্টেশন থেকে সীমান্ত পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণকাজ সমাপ্ত করলেও তাদের অংশে জিরো পয়েন্টে দেড় শ মিটার অবশিষ্ট ছিল। পরে অবশিষ্ট অংশের কাজ সমাপ্ত করে বাংলাদেশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে দেয় ভারতীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট পাক-ভারত বিভক্তের পরও এ পথে রেল চলাচল চালু ছিল। সে সময় এ পথে দুদেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলাচল করত যাত্রী ও মালবাহী ট্রেন। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর বন্ধ হয় দুদেশের মধ্যে রেল চলাচল। বন্ধ থাকা পথটি চালু করতে ৮০ কোটি ১৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেয় বর্তমান সরকার। প্রকল্পটির মধ্যে রয়েছে চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে সীমান্ত পর্যন্ত ৬ দশমিক ৭২৪ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ ও ২ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার লুপলাইন নির্মাণসহ অন্যান্য অবকাঠামো।

চলতি বছর বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ-ভারত কূটনেতিক সম্পর্কের ৫০ বছর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই সময় ২৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে ঢাকা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত আন্তদেশীয় যাত্রীবাহী ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ ট্রেনের উদ্বোধন করেন। যাত্রীবাহী ট্রেনটি উদ্বোধন করা হলেও করোনা পরিস্থিতি যাত্রীবাহী ট্রেনের চাকা আপাতত থামিয়ে রেখেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close