নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১

পেঁয়াজ ও মুরগির দাম বেড়েছে

সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে মুরগি, পেঁয়াজ ও ডালের। অন্যদিকে, অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা ও বাসাবোর বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা গেছে এসব তথ্য।

বাজারে বেশির ভাগ সবজি আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে প্রতি কেজি (গোল) বেগুন ৮০, লম্বা বেগুন ৫০ থেকে ৪০, করলা ৬০, ইন্ডিয়ান টমেটো ১০০, শিম ১২০ ও বরবটি ৬০ টাকা। চালকুমড়োর পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়োর কেজি ৪০, চিচিঙ্গা ৪০, পটোল ৪০, ঢ্যাঁড়শ ৪০, লতি ৮০ ও কাকরোল ৮০ থেকে ৬০ টাকা।

এসব বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে। পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০, শসা ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়।

সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মিজানুর বলেন, শীতের আগাম সবজির সরবরাহ বাড়লেও অন্যান্য সবজি বাড়ছে না। যে কারণে আগাম সবজিরদাম কিছুটা কমেছে। বিপরীতে পটোল, করলাসহ কিছু সবজির দাম বেড়েছে। এ ছাড়া শুকনো মরিচ প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২৫০, রসুনের কেজি ৮০-১৩০, আদার দাম ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। হলুদ ১৬০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইন্ডিয়ান ডালের দাম ৫ টাকা বেড়ে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়।

এসব বাজারে কেজিপ্রতি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এ ছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। বাজারে গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে আটা। প্রতি কেজি আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৩ থেকে ৩৫ টাকায়।

বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৮ থেকে ১১০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালি (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

সোনালি (কক) মুরগির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। প্রতি কেজি সোনালি (কক) মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়। গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি।

বাজারে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা।

রামপুরা বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রুবেল বলেন, খামারিরা মুরগি কম আছে বলে দাম বাড়িয়েছেন। কোনো সংকট নেই। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ও খামারিদের সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে মুরগির দাম।

মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৮০ টাকা। মৃগেল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা। পাঙাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা।

এদিকে বাজারে এখন ছোট-বড় সব ধরনের ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে। তবে দাম এখনো তুলনামূলক বেশি। বড় (এক কেজির ওপরে) ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১৩০০ টাকা। মাঝারি আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। আর ছোটগুলো ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ইলিশের সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close