গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন রাজউক, স্থাপত্য অধিদপ্তরসহ অন্যান্য দপ্তর বা সংস্থার নির্মিত এবং নির্মাণাধীন সরকারি ও আবাসিক ভবনে নিজ নিজ উদ্যোগে মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করার নির্দেশনা দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। একই সঙ্গে দুই সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে চলমান মশক নিধন কার্যক্রমে রাজউকসহ সব দপ্তরকে সহযোগিতার মাধ্যমে সমন্বয় করে কাজ করতে বলেন মন্ত্রী। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজউকের আওতাধীন সরকারি, ডেভেলপার, ব্যক্তিপর্যায়ে নির্মিত বা নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার বংশবিস্তার ও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব রোধকল্পে নিয়মিত তদারকি সংক্রান্ত অনলাইনে আয়োজিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, রাজউক ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের অনেক নির্মাণাধীন এবং নির্মিত অবকাঠামো রয়েছে। এ ছাড়া, অনেক সরকারি এবং বেসরকারি আবাসিক এলাকা রয়েছে যেগুলোতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। তাই সব সরকারি ভবন ও আবাসিক এলাকা, নির্মাণাধীন ভবন এবং কারওয়ানবাজার ও নিউমার্কেটসহ সব বাজারে মশক নিধনে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেন।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এডিস মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য রাজউকের উপযুক্ত কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার নির্দেশনা দিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব এবং রাজউক চেয়ারম্যানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন। এ ছাড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব প্রতিষ্ঠানকে আলাদা আলাদা নির্দেশনা প্রদান, সব ধরনের ভবন পরিদর্শন এবং রিপোর্ট অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে বলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

মশক নিধনে যেসব ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলোর গুণগতমান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই ছিটানো হচ্ছে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জানান ওষুধের কোনো ঘাটতি নেই। পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। শুধু অভিযান পরিচালনা করে মশার প্রাদুর্ভাব বন্ধ করা যাবে না। এজন্য দরকার মানুষের সচেতনতা।

সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব শহীদ উল্লাহ খন্দকার, রাজউক চেয়ারম্যন এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম এবং রিহ্যাব ও বিএলডিএ’র প্রতিনিধি অন্যদের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন।

"