প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২২ জুন, ২০২১

প্রকৃতির কোলে শান্তির ঘর...

ছোট্ট জায়গায় ন্যূনতম প্রয়োজন মিটিয়ে জীবন ধারণ হয়তো অনেকেরই পছন্দ নয়। তবে প্রাকৃতিক পরিবেশে স্বল্প পরিসরে শান্তির জীবনযাপন অনেকেরই পছন্দ। যুক্তরাষ্ট্রের দার্শনিক ও সাহিত্যিক হেনরি ডেভিড থোরু নিজের পছন্দমতো প্রকৃতির সঙ্গে থাকতে ম্যাসাচুসেটস ওয়াল্ডেন পোন্ডের একটি কেবিন বানিয়েছিলেন। বর্তমান খুদেঘর আন্দোলনের ধারণাটির উৎপত্তি এখানেই। যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৭০ সাল থেকে এমন ঘরের ধারণা পরিবেশপ্রেমীদের মনে জায়গা করে নিতে থাকে। ২০১৮ সালে বসতবাড়ি নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল রেসিডেন্সিয়াল কোড জানায়, খুদেঘরে সর্বোচ্চ ৩৭ স্কোয়ার মিটার জায়গা থাকা উচিত। মন ঘরে বসবাসের ও রান্না করার জায়গা থাকে। এরমধ্যে থাকে ঘুমানোর জায়গা। কখনো কখনো ঘুমানোর জায়গা ওপরেও করা হয়। অনেক খুদেঘরই চাকার ওপর দাঁড়ানো থাকে, যেন ঘরের মালিক চাইলেই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় তা সরাতে পারেন। তবে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, খুদেঘরের এ ধারণা জার্মানিতেও বেশ জনপ্রিয়। দেশটির দক্ষিণের বনাঞ্চলে এমন কয়েক হাজার ঘর আছে। এমনকি ২০১৭ সালে বাভারিয়া রাজ্যের মেলমাইজেলে এমন বেশ কয়েকটি খুদেঘর মিলে। একটি গ্রামই তৈরি হয়ে গেছে।

শুধু কম খরচ আর পরিবেশবান্ধব বসবাসের জন্যই নয়, খুদেঘরের এমন ভাবনা ছড়িয়ে পড়েছে পরিবেশবাদীদের মধ্যেও। ২০১২ সালে জার্মানির হামবাখের বনাঞ্চলে কয়লা উত্তোলনের প্রতিবাদ জানাতে আসা পরিবেশবাদীরাও গাছের মধ্যে এমন ঘর বানিয়েছিল। জার্মানির রাজধানী বার্লিন শহরে কিছু লোক নৌকায় বানানো এমন ঘরে বাস করছেন। বলা হচ্ছে, এমন ঘর পরিবেশবান্ধব টয়লেট ব্যবহারের মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ কমাতে পারে আর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় তা বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। পরিবেশবান্ধব বসবাসের সুবিধার পাশাপাশি এমন ঘর পশ্চিমের অনেক দেশেই গৃহহীন মানুষের সমস্যা দূর করতে পারে। যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খুদেঘরের এমন ১০০ গ্রাম আছে যা গৃহহীনদের আপৎকালীন সমস্যার সমাধান দিচ্ছে।

তবে সমালোচকরা বলছেন, খুদেঘরে থাকার এমন ব্যবস্থা গৃহহীনদের জন্য অমানবিক। করোনা মহামারির সময়ে দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরার বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সে কারণেই হয়তো বাড়ছে এমন খুদেঘরের জনপ্রিয়তা। ২০২০ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, অর্ধেকেরও বেশি আমেরিকান এমন ছোট ঘরে বাস করতে চান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close