প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
থ্যালাসেমিয়া...
থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে গতকাল বাংলাদেশসহ বিশে^র দেশে দেশে সরকারি-বেসকারি পর্যায়ে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস পালন করা হয়েছে। থ্যালাসেমিয়া একটি রক্তের ভয়ানক রোগ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রোগটি বংশগত। বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রধানত জিনগত সমস্যা থেকেই এই রোগ হয়। বংশানুক্রমিকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই রোগ হলে শরীরে স্বাভাবিকভাবে রক্ত তৈরি হয় না। হিমোগ্লোবিনে ত্রুটি থেকে যায়। লোহিত রক্ত কণিকার আয়তন ছোট হয়। তাই রোগাক্রান্তকে অন্য রক্তদাতার রক্ত গ্রহণ করতে হয়। থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের ১৫ থেকে ৩০ দিন অন্তর রক্ত পরিবর্তন করতে হয়।
সাধারণত শিশু জন্মের ১-২ বছরের মধ্যে থ্যালাসিমিয়া রোগ ধরা পড়ে। এর লক্ষণগুলো হলো ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, দুর্বলতা, ঘন ঘন ইনফেকশন, শিশুর ওজন বৃদ্ধি না পাওয়া, জন্ডিস, খিটখিটে মেজাজ ইত্যাদি। উপসর্গগুলো দেখা দিলে এইচপিএলসি বা ‘হাই পাওয়ার লিকুইড ক্রোমাটোগ্রাফি’ পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয়র করা যায়। থ্যালাসেমিয়ায় থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সচেতনতা ও সঠিক চিকিৎসা। এছাড়াও যে বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ
১. বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া যে থ্যালাসেমিয়ার বাহক কি না। ২. খেয়াল রাখতে হবে দুজন থ্যালাসেমিয়ার বাহক যেন বিয়ে না করেন। ৩. বিয়ের পরে যদি দেখা যায় স্বামী অথবা স্ত্রীর মধ্যে একজন এই রোগের বাহক তাহলে অবশ্যই অন্যজন রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। ৪. যদি দেখা যায়, স্বামী ও স্ত্রী দুজনেই থ্যালাসেমিয়ার বাহক তাহলে গর্ভাবস্থায় ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে ভ্রুণের পরীক্ষা করান।
তবে মনে রাখতে হবে, রোগটি কিন্তু ছোঁয়াচে বা সংক্রামকও নয়। একজন থ্যালাসেমিয়া রোগীর দেহের রক্ত যদি অন্যের শরীরে দেওয়া হয় তাহলেও ওই ব্যক্তির থ্যালাসেমিয়া হবে না। থ্যালাসেমিয়া রোগীর সঙ্গে যৌন সংগমেও এই রোগ ছড়ায় না।
"