স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, গুণগত ও মানসম্মত কাজের ব্যাপারে কারো সঙ্গে কোনো কম্প্রোমাইজ (আপস) হবে না। দুর্নীতি, অনিয়ম বা নিম্নমানের কাজে জড়িত থাকলে কঠোর শাস্তি পেতে হবে। গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ‘শ্রেষ্ঠ আত্মনিভর্রশীল নারী সম্মাননা ২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য এলজিইডির সবস্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ‘এলজিইডির সবস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। যার ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে, তাকে তা যথাযথ পালন করতে হবে। নিম্নমানের কাজে যেই জড়িত থাকুক, তাকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। সারা দেশে এলজিইডির যে সুনাম রয়েছে, তা কেউ ক্ষুণœ করবে এটা বরদাশত করা হবে না।’

মো. তাজুল ইসলাম আরো বলেন, ‘প্রচারে নয়, কাজের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে মানুষের সঙ্গে পরিচিত করতে হবে। নিম্নমানের কাজ করে বদনাম নেওয়া যাবে না। ছোটোখাটো ভুলের জন্য বড় ধরনের ইমেজের ক্ষতি হয়। তাই ছোট হোক, বড় হোক অনিয়ম করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট টেকসই করতে হবে। টাকা সেভ করতে গিয়ে নিম্নমানের কাজ করা যাবে না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নেভিগেশন, হাইড্রোলজিক্যাল, জিওলজিক্যাল এবং মরফোলজিক্যাল দিক বিবেচনায় না নিয়ে পাশাপাশি অথবা বিশেষ কোনো ব্যক্তির বাড়ির পাশে ব্রিজ নির্মাণ পরিহার করতে হবে।

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ উল্লেখ করে মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ব্রিজের নকশা প্রণয়নের ক্ষেত্রে নৌচলাচলের বিষয়টি অবশ্যই প্রাধান্য দিতে হবে। এসব বিষয় বিবেচনায় না নিলে কোনো ব্রিজ নির্মাণ না করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।

দেশে নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, পৃথিবীর অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে নারীদের অধিকার তুলনামূলকভাবে বেশি প্রতিষ্ঠিত। নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে শিক্ষা এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী আরো বলেন, দেশে নারীরা সবক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করছেন এবং দেশের উন্নয়নে অবদান রেখে যাচ্ছেন। নারী-পুরুষের কর্মকা-ে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। তাই কিছু কিছু ক্ষেত্রে নারীদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া যেতে পারে।এলজিইডির জেন্ডার অ্যান্ড উন্নয়ন ফোরামের নির্বাচিত পল্লী উন্নয়ন, নগর উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন এই তিন ক্যাটাগরিতে ৯ নারীর হাতে আত্মমর্যাদাশীল নারী সম্মাননা হিসেবে ক্রেস্ট তুলে দেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।

এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুুর রশীদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মেজবাহ উদ্দিন আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে এলজিইডির কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

"