আরফাতুল মজিদ, কক্সবাজার

  ০২ মার্চ, ২০২১

নাফ নদঘেঁষে সীমান্ত সড়ক কমবে মাদক কারবার

* ৩০ শতাংশ শেষ হয়েছে টেকনাফ সীমান্ত সড়কের কাজ * অনুপ্রবেশ ঠেকানো এবং উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এলাকা সিল করতে সহায়ক হবে

মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী উপজেলা টেকনাফ। অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে সীমান্তে অপরাধ ঠেকাতে অনেক সময় হিমশিম খেতে হয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবিকে। বিজিবি সৈনিকদের নজরদারি ও টহল জোরদার করার জন্য নাফ নদের তীরঘেঁষে সীমান্ত সড়ক নির্মাণের কাজ করছে কক্সবাজারের পানি উন্নয়ন বোর্ড। বিজিবির এক কর্মকর্তা জানিয়েন এই সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ হলে তাদের সুবিধা হবে। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধ ও মাদক চোরাকারবার ঠেকাতে তারা আরো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবেন। টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে উখিয়া পর্যন্ত ৫১ কিলোমিটার এই সীমান্ত সড়ক নির্মাণের ফলে কমে আসবে সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও মাদক চোরাচালানের মতো সীমান্ত অপরাধ।

টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফয়সাল হাসান খান জানান, টেকনাফ সীমান্ত সড়কটি নির্মিত হলে বিজিবি সীমান্তে কার্যক্রম অনেক বেশি সংক্রিয় হবে এবং দরকার হলে সীমান্ত এলাকা সহজে বন্ধ রাখতে পারবে। এছাড়া রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও মাদক চোরাচালান রোধে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবে বিজিবি। তিনি আরো জানান, এই সীমান্ত সড়ক নির্মাণের পর সড়কে বাসানো হবে বিজিবির স্মার্ট ডিজিটাল ডিভাইস। যা রাতে ও দিনে টহল জোরদারে কাজ করবে।

সীমান্তে অপরাধ বন্ধের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কক্সবাজার।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী জানান, মিয়ানমার-বাংলাদেশ নাফ নদের ডানতীর বরাবর সীমান্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের যে ৫১ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ কাজ সেটি চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে এই বাঁধ নির্মাণ কাজ ৩০ শতাংশ শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট অংশ কাজ চলমান রয়েছে। খুব দ্রুত তা শেষ করা হবে।

এটি নির্মাণের ফলে সীমান্তবর্তী অপরাধমূলক কর্মকান্ড অনেকটা কমে আসবে। একই সঙ্গে এই সড়কটির উচ্চতা ও যে পরিসরে নির্মিত হচ্ছে এতে নাফ নদের তীরবর্তী অবস্থিত অঞ্চলকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় করতে সক্ষম হবে। স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন এই সড়ক নির্মাণ হলে কমে আসবে মাদক চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ। এতে তাদের নিরাপত্তা বাড়বে। কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলনের সদস্যসচিব এইচ এম নজরুল ইসলাম জানান, সড়কটি তৈরি হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুব অল্প সময়ে সীমান্তে এলাকায় চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করতে পারবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য মতে, টেকনাফে দীর্ঘ ৫১ কিলোমিটার সীমান্ত সড়কটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শেষ হওয়ার কথা ২০২৩ সালের জুন মাসে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close