নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০১ মার্চ, ২০২১

অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনার নির্দেশ কৃষিমন্ত্রীর

দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে এবং সিলেট এলাকার অনাবাদি জমি চিহ্নিতকরে চাষের আওতায় আনার জন্য দ্রুত ‘টিম গঠন’ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য চাল। শাকসবজি, আলু, ভুট্টা, গমসহ ফলমূলের উৎপাদন অনেক বেড়েছে। মানুষ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা বলতে চালকেই বুঝে। সেজন্য চালের উৎপাদন বাড়াতে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

গতকাল রবিবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি। সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, সিলেট ও উপকূলীয় এলাকায় এখনো অনেক অনাবাদি পতিত জমি আছে। বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলে কত জমি অনাবাদি আছে, তার কতটুকু চাষের আওতায় আনা যায়- তা স্টাডি করে দেখতে হবে। সেখানে সেচের পানির অভাব রয়েছে। তবে ভূউপরিস্থ পানির জন্য কয়েকটা নদী রয়েছে। পাম্প ব্যবহার করে নদীর পানি কীভাবে সেচের জন্য কাজে লাগানো যায় তা স্টাডি করে বের করতে হবে। যাতে করে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়। মন্ত্রী এ সময় সিলেট এলাকার অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় আনার জন্য দ্রুত ‘টিম গঠন’ করার নির্দেশ প্রদান করেন।

মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম এসময় বলেন, চালের বাজার স্থিতিশীলের ক্ষেত্রে শুধু উৎপাদনের পরিসংখ্যান দেখলে হবে না। এর সঙ্গে দেশে চালের চাহিদার দিকটিও বিবেচনায় নিতে হবে। দেশে ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে, করোনাকালে অনেক প্রবাসী ফিরে এসেছেন; তা ছাড়া চাল প্রাণী খাদ্যেও ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিতে হবে।

সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরের এডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৬৮টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ৩৬ শতাংশ। যেখানে জাতীয় গড় অগ্রগতি ২৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এ সময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close