নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

জঙ্গি জিয়া দেশেই!

নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) প্রধান মেজর জিয়াউল হক জিয়া সামরিক বাহিনীতে থাকাকালীন আত্মগোপনে থাকার কৌশল রপ্ত করেছেন এবং সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই তিনি দেশে আত্মগোপনে আছেন বলে ধারণা পুলিশের।

তার পুরো নাম সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক। সংক্ষেপে মেজর জিয়া। বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ জিল্লুল হক। গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের মোস্তফাপুরে। সর্বশেষ তিনি মিরপুর সেনানিবাসে থাকতেন। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে সেনাবাহিনীতে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন এই জিয়া। এছাড়া সেনাবাহিনীতে বিদ্রোহ, পাঁচজন লেখক, একজন প্রকাশক ও দুই এনজিওকর্মী হত্যার মাস্টারমাইন্ডও মেজর জিয়া। ২০১৩ সালের আগস্টে আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) কথিত ‘আধ্যাত্মিক গুরু’ জসিম উদ্দিন রাহমানী গ্রেপ্তার হওয়ার পর মূলত আলোচনায় আসে জিয়ার নাম। মেজর জিয়া এবিটির সামরিক শাখার দায়িত্বে ছিলেন।

এ বিষয়ে কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্বে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির আগেও অর্থাৎ ২০২০ সালের মার্চেও জিয়া দেশে ছিলেন। আর এরপর সে বাইরে গেছে বলে কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। জিয়া দেশেই আত্মগোপন করে থাকতে পারেন। তার উদ্দেশ্য হলো আত্মগোপনে থেকে কোনোভাবে সময়টা পার করা।’

এদিকে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক লে. ক. আশিক বিল্লাহ জানান, মেজর জিয়া একজন পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামি এবং উনি বেশ সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হওয়ায় তাকে ধরতে পুলিশের পাশাপাশি র?্যাবও সার্বক্ষণিক তৎপর আছে।

এবিটি সংগঠনটির সদস্যদের এক সময়ে ধারণা ছিল পুলিশ তাদের কখনই ধরতে পারবে না। তাদের কৌশলের কাছে হেরে যাবে পুলিশ। কিন্তু একে একে বড় সব নেতা গ্রেপ্তার হলে সে ধারণা থেকে সরে আসে তারা। কমপক্ষে চারবার জিয়ার খুব কাছ পর্যন্ত পৌঁছেছিল পুলিশ। তবে প্রত্যেকবার সে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালাতে সক্ষম হয়েছে। তাছাড়া কেউ যদি তাকে ধরিয়ে দিতে পারে তাকে ২০ লাখ টাকা দেওয়ারও ঘোষণা দেওয়া আছে পুলিশের।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী প্রকাশক ও ব্লগার ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় জিয়াউল হক জিয়াসহ আট জঙ্গির মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আসামি জিয়াকে ধরতে বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনা করা হলেও আজও তিনি রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close