নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৫ জানুয়ারি, ২০২১

অপপ্রচার-ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে গড়তে হবে ঐক্য : কাদের

দেশবিরোধী অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ এবং উন্নয়নকামী পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, সাম্প্রদায়িকতা নির্মূল করে অসাম্প্রদায়িক ও উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলতে শেখ হাসিনার অব্যাহত প্রয়াসকে শক্তিশালী করতে হবে। এজন্য দেশবিরোধী অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ এবং উন্নয়নকামী সব পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। গতকাল রবিবার সকালে তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল করোনার টিকা নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিএনপি টিকা সংগ্রহের আগেই টিকা ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতির কল্পিত অভিযোগ করেছিল। এখন তারা টিকার ব্যবস্থাপনা নিয়ে মিথ্যাচার করছে। বিএনপির কল্পিত অভিযোগ এবং টিকা নিয়ে অপপ্রচার একসূত্রে গাথা। ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আইয়ুব খানের স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে বাঙালির অভূতপূর্ব জাগরণের দিন আজ।

ইতিহাসের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমাদের যে স্বাধীনতার সংগ্রাম, সেই ইতিহাসে ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান একটি তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

পুলিশের গুলিতে নিহত নবকুমার ইনস্টিটিউটের ছাত্র মতিউর রহমানকে স্মরণ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ২১, ২২ ও ২৩ জানুয়ারি শোক পালনের মধ্য দিয়ে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে গণ-অভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়। ওবায়দুল কাদের শহীদ আসাদের আত্মদানের কথাও স্মরণ করে বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন আর ত্যাগের ধারাবাহিকতায় বাঙালি পেয়েছে একটি স্বাধীন দেশ।

বীরের বীরত্ব গাথায় উজ্জ্বল বাংলাদেশকে স্বাধীনতার চেতনায় গড়ে তুলেছেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় রূপান্তরের মাধ্যমে শোধ করতে হবে আমাদের পূর্বসূরীদের ত্যাগের ও আত্মদানের ঋণ।

দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র চর্চায় শেখ হাসিনা অনন্য নজির স্থাপন করেছেন উল্লেখ করে কাদের বলেন, তিনি দলের শৃঙ্খলার বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে। ঘোষিত কোনো কমিটির বিষয়ে কারো অভিযোগ থাকলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ধানমন্ডির সভাপতির কার্যালয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকা মহানগরসহ বেশ কয়েকটি জেলা কমিটি এরই মধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জেলা কমিটিসহ অন্য কমিটিগুলো একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্যে চূড়ান্ত করা হয়। প্রস্তাবিত কমিটি জমা দেওয়ার পর আটটি বিভাগের জন্য গঠিত কমিটি নিজ নিজ বিভাগের আওতাধীন জেলা কমিটি যাচাই-বাছাই করা হয়, পরে দলীয় সভাপতির সম্মতি নিয়ে সাধারণ সম্পাদক চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। যেসব জেলা কমটি এখনো দেওয়া হয়নি সেসব জেলা কমিটি যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে অনুমোদন দেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close