নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৩ জানুয়ারি, ২০২১

দাম কমেছে চাল ও খোলা সয়াবিনের

বাজারে চালের দাম কমেছে। খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েলের দামও কমেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে বোতলজাত সয়াবিন আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। সবজির দাম সামান্য কমেছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কাওরানবাজার, মগবাজারের কাঁচাবাজার, সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দামের এই খবর পাওয়া গেছে।

চাল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, চিকন, মোটা ও মাঝারি এই তিন ধরনের চালের দামই কমেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় মোটা চালের দাম কমেছে কেজিতে ২ টাকা করে। এছাড়া চিকন ও মাঝারি চালের দাম কেজিতে কমেছে ১ টাকা করে। খুচরা ব্যবসায়ীরা মোটা চাল বিক্রি করেছেন ৪৩ থেকে ৪৮ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে এই চাল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। চিকন চাল বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা কেজি। মাঝারি চাল বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়।

এ প্রসঙ্গে কাওরানবাজারের চাল ব্যবসায়ী আবু ইউসুফ বলেন, বাজারে চালের সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। ফলে দাম কমে আসছে। আমদানি করা চাল আসতে শুরু করেছে। আগামী সপ্তাহে দাম আরো কমতে পারে।

এদিকে বাজারে খোলা সয়াবিন তেলের কেজি বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। পাম অয়েল বিক্রি হয়েছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। তবে বোতলজাত সয়াবিনের দাম আগের মতোই রয়েছে। এক লিটার সয়াবিন বোতল ১২০ টাকা, খুচরা পর্যায়ে বোতল পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল ৫৬০ থেকে ৬০০ টাকা বিক্রি হয়েছে।

সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির হিসাবে, গত একমাসে সব ধরনের পাম ও সয়াবিনের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম বেড়েছে ১২ শতাংশ। খোলা সয়াবিনের দাম বেড়েছে প্রায় ৯ শতাংশ।

এদিকে গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে কমেছে আলুর দাম। নতুন সাদা ও লাল আলু কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি। গাজর গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা কেজি, তবে এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। করলা আগের দামেই ৩০ থেকে ৪০ কেজি, শালগম ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আধাপাকা টমেটোর বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি। মুলা ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি, শিম মানভেদে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা ও শসা বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। বাঁধাকপি ও ফুলকপির দাম কমে বিক্রি হয়েছে আকার ভেদে ১০ থেকে ১৫ টাকা পিস, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে কাঁচামরিচের দামও। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি কাঁচামরিচের দাম ছিল ৮০ থেকে ১০০ এ সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। এ ছাড়া দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ টাকা কেজি।

কাওরানবাজারের ব্যবসায়ী আবদুল গাজি বলেন, ‘মহাজনেরা পেঁয়াজ বেশি নিয়ে আসতেছে এজন্য দাম কম।’

এদিকে আগের সপ্তাহের মতই বিক্রি হয়েছে ব্রয়লার মুরগি। গত সপ্তাহে ছিল ১৪০ টাকা কেজি, এ সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হচ্ছে। পাকিস্তানি জাতের মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি। দেশি মুরগি আগের মতোই বিক্রি হয়েছে ৪৫০ টাকা কেজি। লাল কর্ক মুরগির দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা কেজি, এ সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২২০ টাকা কেজিতে। এছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৫৫০ টাকা, মহিষ ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা।

এসব বাজারে প্রতি কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৬০০ টাকায়, মৃগেল ১১০ থেকে ১৫০ টাকায়, পাঙ্গাশ ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হয়েছে ৮৫০ থেকে ১ হাজার টাকায়, চিংড়ি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়, বোয়াল মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close