প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৩ জানুয়ারি, ২০২১

শিল্পকর্ম ‘গ্লোবাল গেট’

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার প্রচারের অংশ হিসেবে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় মোবাইল শিল্পকর্ম’ গড়ে তোলা হয়েছে। নাম ‘গ্লোবাল গেট’। জার্মানির অন্যতম প্রখ্যাত শিল্পী লেওন ল্যোভেনট্রাউট এটি বানিয়েছেন। ২২ বছর বয়সি এই শিল্পী জাতিসংঘের ‘আর্ট ফর গ্লোবাল গোলস’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে এটি তৈরি করেছেন। দ্য ডেইলি মেইল গতকাল শুক্রবার এ খবর জানায়।

শিল্পী লেওন ল্যোভেনট্রাউট বলেন, ‘মূল বিষয় হচ্ছে টেকসই উন্নয়ন। আগের চেয়ে এই আলোচনা এখন আরো বেশি জরুরি, কারণ ভবিষ্যতে আমরা কেমন আচরণ করব, আমাদের জীবনযাপন কেমন হবে, তা এখনই নিশ্চিত করতে হবে। জাতিসংঘের প্রকল্পটা অনেক বড়, তাই শিল্পকর্মটাও এত বড় করে করা হয়েছে, যেন মানুষের তা চোখে পড়ে এবং তাহলেই মানুষ গুরুত্বটা বুঝতে পারবে।’

মাত্র কয়েকদিন কাজ করে ৩৭টি কনটেইনার দিয়ে ‘গ্লোবাল গেট’ তৈরি করা হয়েছে। শিল্পকর্মের কাভারে লেওনের রঙিন সব কাজ শোভা পাচ্ছে। বার্লিনের বিখ্যাত ব্রান্ডেনবুর্গ গেটের আদলে তৈরি হয়েছে এটি। এক শিশুর মাথা থেকে এমন শিল্পকর্মের আইডিয়া এসেছে। আর্ট প্রজেক্ট ডেভেলপার মার্কুস শ্যাফার বলেন, ‘আমার ছেলে মাক্সিমিলিয়ানের বয়স ৯। তার খেলনা কনটেইনার আছে। সেগুলো দিয়ে সে এক দিন ব্রান্ডেনবুর্গ গেট বানিয়েছিল। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ওই গেটের একেকটি পিলারের উচ্চতা ১৩ মিটার। শিপিং কনটেইনারেরও তাই। ফলে বার্তাটা পরিষ্কার।’

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে সবাইকে জানানোর অংশ হিসেবে জাতিসংঘ বছর তিনেক আগে লেওনকে এই শিল্পকর্ম বানানোর কাজ দেয়। পেইন্টিংয়ের মাধ্যমে ১৭টি লক্ষ্যমাত্রার প্রতিটি তুলে ধরেছেন লেওন। পেইন্টিংগুলো এরই মধ্যে প্যারিস ও নিউইয়র্কে প্রদর্শিত হয়েছে। পেইন্টিং বিক্রির অর্থ দিয়ে সেনেগালে একটি স্কুলও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

গ্লোবাল গেটে লেওনের পেইন্টিংগুলো বড় করে প্রদর্শিত হচ্ছে। সঙ্গে ১২টি ভাষায় লক্ষ্যমাত্রাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু বিমানবন্দরের সঙ্গে টেকসই উন্নয়ন বিষয়টি কীভাবে খাপ খায়? লেওন ল্যোভেনট্রাউট বলেন, ‘আর্টের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে সবার নজর কাড়া যায়। আশা করছি ভবিষ্যতে আমরা আরো টেকসইভাবে বিমানযাত্রা করতে পারব। আমি একজন আর্টিস্ট, আর্ট আমার আবেগ। আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে আমি টেকসই উন্নয়নের বিষয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছি। পুরো বিশ্বের জন্যই এমন উন্নয়ন দরকার। ফলে প্রতীকী অর্থে এখানে বিমানবন্দর এসেছে।’

লেওনের ফটো ক্যাম্পেন ‘মাই ফিউচার’-এর ছবিও গ্লোবাল গেটে শোভা পাচ্ছে। ২০০-এর বেশি শিশুকে ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের ধারণা ছবির মাধ্যমে তুলে ধরতে বলেছিলেন তিনি। কিন্তু শিল্পী নিজে কীভাবে ভবিষ্যৎকে দেখেন? লেওন ল্যোভেনট্রাউট বলেন, ‘আমার মনে হয়ে ভবিষ্যতে ডিজিটালাইজেশন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বড় একটা ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়া বর্তমানে আমরা যে কঠিন সময় পার করছি তার ভিত্তিতে জীবন সম্পর্কে আমাদের মনে অন্যরকম এক ছবি ও বোধ জন্ম নেবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close