সংসদ প্রতিবেদক

  ২২ জানুয়ারি, ২০২১

সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সীমান্তে কমেছে চোরাচালান ফিরেছে শান্তি

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, সীমান্ত অপরাধসহ চোরাচালান আশাতীতভাবে কমানো সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা, আহত ও আটকের বিষয়ে প্রতিনিয়ত বিজিবি ও বিএসএফের বিভিন্ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে সীমান্তের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা ও সমাধানের ব্যবস্থা করা হয়। তাই সীমান্তে শান্তি বিরাজ করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে লিখিত প্রশ্নোত্তরে তিনি এ তথ্য জানান।

বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো জানান, সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত এলাকার জনগণের মধ্যে এবং দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে আস্থা বাড়াতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমনে সহায়ক। টহল কার্যক্রমের পাশাপাশি অবৈধভাবে যাতে কেউ শূন্য লাইন অতিক্রম না করতে পারে সে ব্যাপারে সীমান্তবর্তী এলাকায় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে বসবাসরত জনসাধারণের মাঝে বিজিবি কর্তৃক নিয়মিতভাবে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তবে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় আর্থসামাজিক উন্নয়নে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

একই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সীমান্তে বিএসএফ ও ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা বন্ধের বিষয়ে বিজিবি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সরকার এ ব্যাপারে কূটনৈতিক পর্যায়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। তিনি আরো জানান, গত ২২ থেকে ২৬ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে ভারতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলনে হত্যাকে শূন্যে নামিয়ে আনার ব্যাপারে বিএসএফ একমত পোষণ করেছে।

এছাড়াও সীমান্ত এলাকা নজরদারিতে রাখার জন্য বিজিবি ইউনিটগুলো সার্বক্ষণিক টহল পরিচালনা করছে। ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্ত এলাকা চিহ্নিত করে সেসব স্থান সমন্বিত টহল কার্যক্রমের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। এক বিওপি থেকে পার্শ্ববর্তী বিওপির মধ্যবর্তী দূরত্ব কমানো জন্য ১২৮টি বর্ডার সেন্ট্রি পোস্ট (বিএসপি) নির্মাণ করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এরই মধ্যে যশোরের পুটখালি সীমান্তে ১৩ কিলোমিটার, সাতক্ষীরা জেলার মাদরা সীমান্তে ১১ কিলোমিটার, দিনাজপুর জেলার হিলি সীমান্তে ১৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ সীমান্তে ১০ কিলোমিটার, সর্বমোট ৪৯ কিলোমিটার এলাকায় সার্ভিলেন্স সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও টেকনাফ-২ (কক্সবাজার) সীমান্তে ৫৫ কিলোমিটার, নওগাঁ জেলার হাপানিয়া-করমডাঙ্গা সীমান্তে ১০ কিলোমিটার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-জহরটেক সীমান্তে পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার, ৮০ কিলোমিটার এলাকায় বর্ডার সার্ভেইল্যান্স অ্যান্ড রেজপন্স সিস্টেম স্থাপনের কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে। অবশিষ্ট ১৯৯ কিলোমিটার এলাকায় বর্ডার সার্ভেইল্যান্স অ্যান্ড রেজপন্স সিস্টেম স্থাপনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। সীমান্তে টহল তৎপরতা মাধ্যমে নজরদারি বৃদ্ধির জন্য বিওপিতে মোটরসাইকেল এবং অল ট্রেইন ভেহিক্যাল বরাদ্দ করা হয়েছে। যশোর সীমান্তে বিজিবি এবং বিএসএফের দুটি বিওপির (দৌলতপুর ও কল্যাণী) দায়িত্বপূর্ণ ৮ দশমিক ৩ কিলোমিটার এলাকাকে অপরাধমুক্ত এলাকা হিসেবে ষোষণা দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকাকে অপরাধ মুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করায় ওই এলাকার সীমান্ত অপরাধসহ চোরাচালান আশাতীতভাবে কমানো সম্ভব হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close