প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৯ অক্টোবর, ২০২০

ত্বকে ৯ ঘণ্টা বেঁচে থাকে করোনাভাইরাস

জানালেন গবেষকরা

নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আবহে অত্যাবশ্যক পণ্যে পরিণত হয়েছে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার। প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়ে গেলেও শিগগিরই এ ভাইরাসের হাত থেকে রেহাই মিলছে না বলে এরই মধ্যে আভাস দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিচ্ছন্নতা নিয়ে আরো সাবধান না হলে বিপদ ঘনিয়ে আসছে বলে এবার জানিয়ে দিলেন জাপানের কোভিড গবেষকরা। তাদের দাবি, মানুষের ত্বকের ওপর ৯ ঘণ্টা পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে কোভিড-১৯ ভাইরাস। তাই কোভিড আক্রান্ত বা অন্য কেউ যার ত্বকে আগে থেকেই ভাইরাসটি রয়েছে, তাদের সংস্পর্শে এলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যেতে পারে।

স্পর্শ থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে কি না, তা নিয়ে গবেষণা করছিলেন ওই গবেষকরা। ক্লিনিক্যাল ইনফেকশাস ডিজিসেস জার্নালে তাদের গবেষণাপত্রটি এ সপ্তাহে প্রকাশ হয়েছে। তাতে সাধারণ ফ্লু ভাইরাসের (এ ক্ষেত্রে ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাস) সঙ্গে তুলনা টেনে বলা হয়েছে, যে প্যাথোজেন (ক্ষতিকারক অণুজীব) ফ্লু তৈরি করে, মানব ত্বকের ওপর তা সাধারণত ১০৮ মিনিট বেঁচে থাকে। কিন্তু যে সার্স-কোভ-২ (কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী ভাইরাস) মানব ত্বকের ওপর ৯ ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। তবে ল্যাবরেটরির ভেতরের পরিবেশ এবং বাইরের পরিবেশ যেহেতু এক নয়, তাই বিষয়টি আরো বিশদে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন বলে মত ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের। এ নিয়ে যোগাযোগ করলে আনন্দবাজার ডিজিটালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেডিসিনের চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, ‘গবেষণাগার এবং বাইরের পরিবেশ এক নয়। এ নিয়ে আরো বিশদে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। এ মুহূর্তে ভাইরাসকে ঠেকানোর মূল মন্ত্র হলো বারবার হাত ধোয়া, মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলা।’ এ ব্যাপারে একমত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব কেমিক্যাল বায়োলজির বিজ্ঞানী শিল্পক চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘করোনা রোগীর হাঁচি থেকে ড্রপলেট কারো ত্বকের সারফেসে এসে লাগলে, সেখান থেকে সংক্রমণ হতে পারে। তবে বাইরে সূর্যালোক আছে। আছে অতিবেগুনি রশ্মি। তাই ভাইরাস তুলনামূলক নিষ্ক্রিয় থাকবে। গবেষণাগারের পরিবেশ কৃত্রিম। তাই এ নিয়ে আরো কাজ করা প্রয়োজন।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close