নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৯ অক্টোবর, ২০২০

কর্মশালায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

উন্নত প্রযুক্তি আসছে পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনায়

পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উন্নত বিশ্বের মতো আমাদের দেশেও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলাদেশেও পর্যালোচনা করা হচ্ছে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করার বিষয়টি। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং একটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেশ গড়তে সব ধরনের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আনা হবে।

গতকাল রোববার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষ থেকে পৌরসভার পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে পৌরসভার মেয়র ও প্রকৌশলীদের জন্য অবহিতকরণ কর্মশালায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, গ্রামে এবং বিভিন্ন শহর-নগরের পয়োবর্জ্য, কঠিন বর্জ্যসহ অন্য সব ধরনের বর্জ্য এমনভাবে ব্যবস্থাপনা করতে হবে, যাতে পরিবেশ দূষিত না হয়। মানুষের স্বাস্থ্যের হানি না ঘটে। এজন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গড়তে যত ধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট দরকার, সরকার সে ব্যবস্থা করবে।

দেশের পৌরসভাগুলোতে যেসব সমস্যা আছে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম মেয়রদের কাছ থেকে সেসব সমস্যার কথা শুনেন এবং তা সমাধানের আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে তিনি পৌরসভাগুলোকে নিজস্ব আয় বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বাংলাদেশ অত্যন্ত ঘনবসতি হওয়ায় পয়োবর্জ্যরে পরিমাণ অনেক বেশি। তা সত্ত্বে ও খোলা স্থানে পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দেশে অনেক উন্নতি হয়েছে। শুধু সিটি করপোরেশন অথবা পৌরসভায় নয়, এই পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা গ্রামপর্যায়েও পৌঁছে যাবে।

দেশকে উন্নতসমৃদ্ধ করতে হলে শুধু অর্থনৈতিক সূচক পূরণ করলেই হবে না, স্বাস্থ্য, পরিবেশসহ অন্যান্য যে প্যারামিটার আছে, সেগুলোতেও গুরুত্ব দিতে হবে অর্থাৎ সামগ্রিক উন্নয়ন করতে হবে। তিনি বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ তৈরি করতে সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে।

কর্মশালায় কারিগরি বিষয়াবলির ওপর ইন্টারন্যাশনাল ট্রেনিং নেটওয়ার্ক, বুয়েটের পরিচালক ড. তানভীর আহমেদ উপস্থাপনা করেন এবং ইউনিসেফের ওয়াশ সেকশন চিফ দারা জনস্টন এসডিজি ৬ দশমিক ২ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান তুলে ধরেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী এবং ৫০টি পৌরসভার মেয়র ও প্রকৌশলীরা অনলাইন কর্মশালায় অংশ নেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close