নিজস্ব প্রতিবেদক
কৃষিমন্ত্রীকে রাষ্ট্রদূত
পেঁয়াজ, গম রফতানি করতে চায় ইরান
বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি করার আগ্রহ দেখিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ রেজা নফর। এ ছাড়া খেজুর, গম, কিশমিশ ইত্যাদি পণ্যও রফতানি করতে চান তিনি। তিনি বলেছেন, ইরানে তুলনামূলকভাবে পেঁয়াজের দাম অনেক কম। এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুুর রাজ্জাক। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রাষ্ট্রদূত এ আগ্রহ প্রকাশ করেন। সাক্ষাৎকালে কৃষিবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বায়োটেকনোলজি, অ্যাগ্রো ফুড প্রসেসিং ও প্যাকেজিং, জলবায়ু অভিঘাত সহনশীল বিভিন্ন জাত উদ্ভাবন ও গবেষণা, বাণিজ্য নিয়ে দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা হয়।
কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করে ইরানের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ রেজা নফর বলেন, বাংলাদেশ সরকারের যুগোপযোগী ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপের ফলে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রেখেছে। যা খুবই প্রশংসনীয়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও ইরানের কৃষিক্ষেত্রসহ অনেক বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া দুদেশের বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদেরও পারস্পরিক সহযোগিতা ও বাণিজ্য খাত চিহ্নিত করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদারে উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।
এ সময় ইরানের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে চা, পাট, আম, মসলাসহ বিভিন্ন ফুড আইটেম ও শাকসবজি নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশে খেজুর, গম, পেঁয়াজ, কিশমিশ প্রভৃতি রফতানির আগ্রহ দেখান।
এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের নানাবিধ উদ্যোগ এবং কৃষি খাতে প্রণোদনার ফলে কৃষিতে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। বাংলাদেশ দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। এখন মূল লক্ষ্য হলো কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণ ও আধুনিকীকরণ করা। সেজন্য কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতে বাংলাদেশ সরকার গুরুত্বারোপ করছে। এ সময় কৃষিমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে ইরানে আম, আনারসসহ বিভিন্ন ফলমূল ও শাকসবজি রফতানির এবং ইরান থেকে গম ও পেঁয়াজ আনার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
"