নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০

বাজার দর

নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে

চাল-ডাল, তেল-পেঁয়াজ, মরিচ-শাকসবজিসহ সব নিত্যপণ্যের দাম দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলোতে হাত দেওয়ার উপায় নেই সাধারণ মানুষের। দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির কারণে অনেক কর্মজীবীর সংসারে অভাব দেখা দিয়েছে। অনেকে পরিবার-পরিজনদের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও রামপুরা বাজার এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়। এসব এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা জানিয়েছেন, চাল, তেল ও পেঁয়াজের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। এতে সমস্যায় পড়ছেন স্বল্প আয়ের মানুষ।

খোলা ও বোতলজাত সব ধরনের সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বেড়েছে। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল মানভেদে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা ছিল। বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ৫-৮ টাকা বেড়ে ১১০ থেকে ১১৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা পাম তেলের দামও বেড়েছে। এখন প্রতি লিটার পাম ৭৫ থেকে ৮০ টাকা ও পাম সুপার ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের সপ্তাহে ছিল যথাক্রমে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা ও ৭৫ থেকে ৮০ টাকা।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, সপ্তাহের ব্যবধানে পাম ও সয়াবিন তেল, চাল, প্যাকেট ময়দা, রসুন, মসুর ডাল ও শুকনো মরিচের দাম খুচরা বাজারে বেড়েছে।

রাজধানীর বাজারে এখন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মান ও বাজারভেদে পেঁয়াজের দামে এখন তারতম্য রয়েছে। আমদনি করা রসুনের দামও কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৯০ থেকে ১০০ টাকায় কেনাবেচা হচ্ছে।

খুচরায় পেঁয়াজের দামে তেমন হেরফের না থাকলেও পাইকারিতে দাম আবার কিছুটা বাড়ছে বলে জানান কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মো. ইউনুস। তিনি বলেন, গতকাল পাইকারিতে আমদানি পেঁয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়েছে। এখন মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি করছেন তারা।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে চালের দামও কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়েছে। এখন খুচরায় প্রতি কেজি মোটা চাল ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা, মাঝারি চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা ও সরু চাল ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তা ছাড়া প্যাকেটজাত ময়দার দাম কেজিতে দুই টাকা বেড়ে ৪২ থেকে ৪৫ টাকা হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে মাঝারি দানা মসুর ডাল ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে অন্য ডাল আগের সপ্তাহের মতো একই দামে পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া শুকনো মরিচের দাম কেজিতে গড়ে ২০ টাকা বেড়ে মানভেদে ২২০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এদিকে বাজারে ২৫০ গ্রাম কাঁচামরিচ কিনতে গুনতে হচ্ছে ৫০ টাকা। শুকনো মরিচের কেজি ২২০ টাকার নিচে নেই। টিসিবির হিসাবে, গত বছরের তুলনায় দেশি শুকনা মরিচের দাম ৫০ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া আমদানি করা আদার দাম বেড়েছে ৪২ দশমিক ৪২ শতাংশ। হলুদ, এলাচ, দারুচিনির পেছনেও বাড়তি অর্থ খরচ করতে হচ্ছে ভোক্তাদের।

দু-একটি বাদে বেশির ভাগ সবজির কেজি ৫০ টাকার ওপরে। এমনকি ১০০ টাকার ওপরে বিক্রি হয়েছে একাধিক সবজি। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, তিনজনের পরিবারের জন্য ১০০ টাকার সবজি এখন এক দিনও চলে না। শীতের আগাম সবজি শিমের কেজি বিক্রি হয়েছে ১৪০-১৫০ টাকা। ছোট আকারের ফুলকপি, বাঁধাকপির পিস গত সপ্তাহের মতো বিক্রি হয়েছে ৩০-৫০ টাকা। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হয়েছে ১০০-১২০, গাজর ৮০-১০০, উচ্ছে ৭০-১০০ ও বরবটি ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া পটোল ৪০-৫০, কাঁকরোল ৪০-৫০, বেগুন ৭০-৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। আর প্রতি পিস লাউ ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কাঁচামরিচের ঝাল আগের মতোই কড়া। এ ছাড়া অপরিবর্তিত (আগের দাম) আছে মাছ, মুরগি, ডিম, গরু ও খাসির মাংসের দাম।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close