নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০

প্রক্রিয়াজাত কাজুবাদাম

রফতানিতে আসতে পারে বছরে ৫০০ কোটি ডলার

রফতানি পণ্যের নতুন নাম যুক্ত হলো প্রক্রিয়াজাত কাজুবাদাম। কিন্তু এ খাতের উদ্যোক্তাদের এখনো নির্ভর করতে হচ্ছে আমদানি করা কাঁচামালের ওপর। তাদের দাবি, ভৌগোলিক অবস্থান ও সস্তা শ্রমের কারণে পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া হলে এ পণ্য রফতানিতে বছরে আসতে পারে অন্তত ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার। কাজুবাদাম রফতানি করে বছরে ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে ভিয়েতনাম। সারা বিশ্বের যে চাহিদা তার ৪০ শতাংশ একাই সরবরাহ করে দেশটি। পরিকল্পনার মাত্র ২০ বছরের মাথায়, নিজস্ব উৎপাদন আর আমদানি করা কাঁচা কাজুবাদাম প্রক্রিয়াজাত করে রফতানির মাধ্যমেই এই আয় করছে ভিয়েতনাম।

বাংলাদেশেও চাহিদা আছে কাজু বাদামের। বছরে ৩০ শতাংশ হারে বেড়ে এখন ১ হাজার টন। বিষয়টি মাথায় রেখেই কাজুবাদাম প্রক্রিয়াজাত করছেন দেশীয় উদ্যোক্তারা। কিন্তু মাত্র ২৫ শতাংশ কাঁচামাল দেশে উৎপাদন হওয়ায়, নির্ভরতা আমদানিতে। প্রক্রিয়াজাতকারী ও রফতানিকারকরা বলছেন, বাংলাদেশ চাইলে শুধু কাজু রফতানি করে বছরে আয় করতে পারবে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার। এজন্য কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার চান তারা। সম্ভাবনাময় এই কাজু খাতকে টেকসই করতে পার্বত্য অঞ্চলের পতিত ৫ লাখ হেক্টর জমির ২ লাখ হেক্টর কাজু আবাদের আওতায় চান উদ্যোক্তারা। কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, অপ্রচলিত কাজুবাদাম নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা আছে সরকারের। প্রয়োজনে কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। ৫ হাজার টন কাঁচামালের চাহিদার বিপরীতে দেশে উৎপাদন হয় মাত্র ১ হাজার ৫০০ টন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close