দাম বৃদ্ধির এক সপ্তাহের মাথায় দেশে স্বর্ণের দর ভরিতে ২ হাজার ৪৫০ টাকা কমেছে। টানা তিন দফা বাড়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে সবচেয়ে ভালো মানের স্বর্ণ প্রতি ভরি ৭৪ হাজার ৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ দিন সকালে স্বর্ণের দর কমানোর ঘোষণা দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে তা কার্যকর করার কথা জানায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এর আগে প্রতিবার আগের দিন স্বর্ণের দাম বাড়ানো-কমানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। পরের দিন থেকে সেই দর কার্যকর হয়। তবে এবার ঘোষণা দিয়েই কার্যকর করা হয়। ‘আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায়’ স্থানীয় বাজারেও দাম কমানো হয়েছে বলে বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগারওয়ালা জানান।

এই ব্যবসায়ী নেতা তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম খুব ওঠানামা করছিল। গত এক সপ্তাহে স্বর্ণের দাম খানিকটা কমেছে।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ যখন দেশে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়, তখন বিশ্ব বাজারে প্রতি আউন্সের (৩১.১০৩৪৭৬৮ গ্রাম) দাম ছিল ১ হাজার ৯৪৫ ডলার। গতকাল বৃহস্পতিবার তা ১ হাজার ৮৫৮ ডলারে নেমে এসেছে বলে জানান দিলীপ।

বাজুস জানিয়েছে, গতকাল থেকে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) স্বর্ণ ৭৪ হাজার ৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ৭০ হাজার ৮৫৯ টাকায়। আর ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ৬২ হাজার ২১১ টাকায়। সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ ৫১ হাজার ৭৮৮ টাকা ভরি দরে বিক্রি হচ্ছে।

গত বুধবার পর্যন্ত প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ছিল ৭৬ হাজার ৪৫৭ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৭৩ হাজার ৩০৮ টাকায় এবং ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৪ হাজার ৫৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সনাতন পদ্ধতিতে স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে ৫৪ হাজার ২৩৮ টাকায়।

গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে স্বর্ণের মতো হলমার্ক চিহ্নযুক্ত (কেডিএম) রুপা বিক্রি করার ঘোষণা দিয়েছে বাজুস। ক্রেতারা যাতে প্রতারিত না হন, সেজন্য প্রথমবারের মতো দেশে মান নির্ধারিত রুপার গহনা বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান দিলীপ কুমার আগারওয়ালা।

গতকাল থেকে দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট রুপার গহনা ১ হাজার ৫১৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২১ ক্যারেটের রুপার অলঙ্কার বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪৩৫ টাকায়। আর ১৮ ক্যারেটের রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২২৫ টাকায়। আর সনাতন পদ্ধতির রুপার গহনা ৯৩৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মহামারির মধ্যে অস্থির বাজারে বাড়তে বাড়তে দেশে স্বর্ণের ভরি ৭৭ হাজার ২১৬ টাকায় উঠেছিল। দেশের বাজারে স্বর্ণের দর এটাই সর্বোচ্চ।

বাজুসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বর্ণালঙ্কারের ক্ষেত্রে বিক্রির সময় প্রতি গ্রামে সর্বনিম্ন ২৫০ টাকা এবং রুপায় ২৬ টাকা মজুরি ধার্য করা হয়। এ ছাড়া সব ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত হারে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) প্রযোজ্য হবে।

"