নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০

কাউন্সিলর সেন্টুর বিরুদ্ধে চাঁদিবাজি মামলা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ‘চাঁদার টাকা না পেয়ে’ এক ব্যবসায়ী, তার বাবাসহ দোকান-কর্মচারীদের মারধরের অভিযোগে মামলা হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম সেন্টুর বিরুদ্ধে। তবে এই জনপ্রতিনিধি তার বিরুদ্ধে হওয়া এই মামলাকে সাজানো এবং বানোয়াট বলে দাবি করেছেন।

তরিকুল ইসলাম নামের ওই ব্যবসায়ী গত মঙ্গলবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় আটজনকে আসামি করে এই মামলা করেন বলে জানান ওসি আবদুল লতিফ। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু ছাড়াও মামলার বাকি আসামিরা হলেন দলটির স্থানীয় নেতা সেলিম, ব্যবসায়ী সমিতির নেতা বাবুল, আবুল ম-ল, মো. সালাম, মো. লাবু, মো. চৌধুরী ও মো. মোহন। মোহাম্মদপুরের টাউন হল বাজারে ‘সিঙ্গাপুর জুস অ্যান্ড কফি বার’ নামে একটি দোকান চালান তরিকুল। তার অভিযোগ, গত ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে কাউন্সিলর সেন্টু তার অফিসের কর্মচারী কামরুলকে দোকানে পাঠিয়ে ‘৫ লাখ টাকা নিয়ে’ কাউন্সিলরের সঙ্গে দেখা করতে বলে। কিন্তু তরিকুল চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় পরদিন তাকে কাউন্সিলর সেন্টু দলবল নিয়ে ওই দোকানে গিয়ে তরিকুল ও তার কর্মচারীদের ‘মারধর করে এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে’ বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়। এজাহারে তরিকুল অভিযোগ করেছেন, কাউন্সিলর সেন্টুর সঙ্গে থাকা লোকজন তার দোকানের ক্রেতাদেরও ‘মারধর করে তাড়িয়ে দেয়’। একপর্যায়ে তরিকুলের বাবা আবু তাহের এগিয়ে গেলে কাউন্সিলর সেন্টু ‘পিস্তল দিয়ে’ তা মাথা ও মুখে আঘাত করেন এবং চাঁদার টাকার জন্য ‘গুলি করার’ ভয় দেখান বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

এই অভিযোগের বিষয়ে কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম সেন্টু বলেন, সে ফুটপাতে অবৈধভাবে দোকান বসিয়ে ব্যবসা করছে এবং সে দোকানে অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করছে। যার কারণে যেকোনো সময় নারায়ণগঞ্জের মতো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেই প্রেক্ষাপটে এসব দোকানদারকে সরে যেতে বলি। তারা দোকান না সরিয়ে উল্টো আমার নামে মিথ্যা বানোয়াট মামলা করে।

মামলার আরেক আসামি জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতা সেলিম বলেন, ‘ফুটপাত পরিষ্কার করার জন্য কাউন্সিলর সেখানে গিয়েছিলেন। চাঁদাবাজি বা মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’

মোহাম্মদপুর থানার ওসি আবদুল লতিফ বলেন, মামলার অভিযোগ আমরা খতিয়ে দেখছি। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে কাউকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি।

সরকারি কর্মকর্তাদের ‘ঘুষ দিয়ে’ বড় বড় কাজ বাগিয়ে নেওয়া, বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনোর কারবারে ‘শত শত কোটি টাকা অর্জন করে বিদেশে পাচারের’ অভিযোগে ২০০ জনের তালিকা ধরে যে অনুসন্ধান দুদক করছে, তার অংশ হিসেবে সম্প্রতি কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম সেন্টুকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close