জুয়েল রানা লিটন, নোয়াখালী

  ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০

সরকারি চাল-গমের খালি বস্তাতেও বিপদের আশঙ্কা

সরকারিভাবে সরবরাহ করা চাল-গমের বস্তা ফেরত না নেওয়ায় তা দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানো সুযোগ আছে বলে আশঙ্কা করছেন নোয়াখালীর জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা। অনেক সময় এর শিকার হয়ে তাদের সামাজিক মর্যাদা নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করে বস্তা ফেরত নেওয়া দাবি জানাচ্ছেন তারা।

দেশের সশস্ত্রবাহিনীর সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাল-গম দিয়ে থাকে সরকার। এ ছাড়া খাদ্য অধিদফতর থেকে পৌরসভা ও ইউনিয়নের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় অসহায়, হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্বল্প এবং বিনামূল্যে চাল বিতরণ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, ৩০ ও ৫০ কেজি পরিমাপের বস্তার চাল বিতরণ শেষে সরকারি কোষাগারে খালি বস্তা জমা না নেওয়া হয় না। এই সুযোগে বস্তাগুলোয় চাল ভর্তি করে দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে ফাঁসাচ্ছেন প্রতিপক্ষরা। এতে অসাবধানতাবশত জনপ্রতিনিধিদের ফেঁসে যাওয়ার ঘটনা অহরহ ঘটছে। ইউপি সচিব সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম। এ বিষয়ে তিনি বলেন, কারো মনে যদি কোনো ধরনের চক্রান্ত থাকে যে, তিনি প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর ফন্দি ফিকির করবে। তাহলে সরকারি চাল বা খাদ্য বিতরণের খালি বস্তা সংগ্রহ করে বাজারের চাল ভর্তি করে দায়িত্বশীল ব্যক্তির ঠিকানায় রেখে ফাঁসাতে পারেন। তাই খাদ্য বিতরণ শেষে বস্তাগুলো সঠিকভাবে সংশ্লিষ্ট মহল বুঝে নিলে হয়রানি কিছুটা হলেও লাঘব হতে পারে।

নোয়াখালী সদর উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. ছালেহ উদ্দিন। তিনি বলেন, বর্তমানে বস্তা ফেরত নেওয়ার কোনো বিধান নেই। এগুলো অফেরতযোগ্য। তবে কোনো একসময় ফেরত নেওয়ার বিধান ছিল। আর তখন বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ফেরত দিতে চাইতেন না। দিলেও ছিটেফোঁটাগুলো দিতে চাইত। এতে সরকারের ক্ষতি হতো। বর্তমানে এর মূল্য ধরে বিতরণ করা হয়। এর প্রতিকার হিসেবে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আমাদের প্রস্তাবনায় রয়েছে বস্তার মধ্যে সরকারি সিল মেরে দেওয়া হবে। তাতে সমস্যাটা কিছুটা হলেও কমতে পারে বলে আশা করি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close