কালিয়া (নড়াইল) প্রতিনিধি

  ০৬ আগস্ট, ২০২০

বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় গুলি, যুবক নিহত

নড়াইলের কালিয়ায় নবগঙ্গা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় মাসুদ রানা (৩৫) নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীদের হামলায় ৯ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। হামলাকালে সন্ত্রাসীরা স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িসহ তিনটি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার দেওয়াডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত মাসুদ দেওয়াডাঙ্গা গ্রামের আলী আকবর শেখের ছেলে। তিনি ইসলামী ব্যাংক ফরিদপুর শাখার নিরাপত্তা কর্মী ছিলেন।

এ ঘটনায় সন্ত্রাসী কাজল মোল্লাসহ ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ ও আহতরা জানান, দেওয়াডাঙ্গা গ্রামের নবগঙ্গা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে মকবুল মোল্লার ছেলে কাজল মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে আসছিলেন। এ কারণে নদীভাঙনে গ্রামের অনেকেরই জমিবিলীন হয়ে যাচ্ছিল। এতে ক্ষতিগ্রস্ত আমিনুর শেখের নেতৃত্বে গ্রামের বাসিন্দারা কাজল মোল্লার বালু উত্তোলনে বাধা দিলে দুই পক্ষের বিরোধ দেখা দেয়। এর জেরে বুধবার সকালে কাজল মোল্লার নেতৃত্বে ৫০ থেকে ৬০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী অতর্কিতে আমিনুর শেখের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা আমিনুর শেখ, শিমুল মোল্লা ও কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা পুরুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সরদার তবিবর রহমানের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা শর্টগান থেকে গুলি ছোড়ে।

এতে চার বছরের শিশু ইভা ও তার মা সাথী বেগমসহ (২২) ওই গ্রামের মাসুদ রানা, আ. রহমান শেখ, অনিক শেখ, আমিনুর সরদার, ইমরান সরদার, রাজীব শেখ ও হেকমত শেখ গুলিবিদ্ধ হন। সন্ত্রাসীদের মারধরে আরো আহত হন মুকুল শেখ, মনোয়ারা বেগম, তিশা খানম ও শফি সরদারসহ অন্তত ১৫ জন।

এদিকে গুলিবিদ্ধ মাসুদ রানাকে চিকিৎসার জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্য আহতদের কালিয়া, নড়াইল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, হামলার খবর পেয়ে কালিয়া থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় হামলাকারীদের ঠেকাতে পুলিশ তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরে পুলিশ হামলাকারীদের নেতা কাজল মোল্লা, তার ভাই টনি মোল্লা ও একই গ্রামের ফেরদৌস মোল্লার ছেলে সোহান মোল্লাসহ ছয়জনকে আটক করে। নড়াইলের সহকারী পুলিশ সুপার শেখ ইমরান বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close