সামান্য গা গরম, ঠাণ্ডা লেগেছে এমন একটা অনুভূতি। তাতেই আপনি ভয় আর চিন্তায় অস্থির করোনা নয়তো! অবশ্য ভয় পাওয়ারও যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কারণ করোনাভাইরাস আর সাধারণ জ্বর-সর্দির প্রাথমিক লক্ষণ অনেকটাই একইরকম। তা হলে কী করে বুঝবেন, কোনটি সাধারণ জ্বর, কোনটি করোনা? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, প্রতি বছর পুরো বিশ্বে ৩০-৫০ লাখ মানুষ ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হন।

তাদের মধ্যে ২ লাখ ৯০ হাজার থেকে ৬ লাখ ৫০ হাজারের মৃত্যু হয় শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত অসুখ থেকে। ঘরে থেকে বিশ্রাম নিয়ে বা ওষুধ খেয়ে এসব সমস্যা মিটে যাওয়ার কথা। এমনকী দুই সপ্তাহের মধ্যে ঠিক হয়ে যায় নিজে থেকেই। কিন্তু করোনার নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ এখনো আবিষ্কার হয়নি। বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন এই অসুখের ওষুধ আবিষ্কার করার। সাধারণ জ্বর, ঠা-া লাগার থেকে করোনা অনেক বেশি বিপজ্জনক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে অজানা বিপদ আখ্যা দিয়েছে।

জামা নামে এক মার্কিন পত্রিকায় ২৮ ফেব্রুয়ারি একটি রিপোর্ট প্রকাশ হয়। তাতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস আক্রান্ত ৮৩-৯৮ শতাংশ লোকের শরীরে জ্বর দেখা দেয়। ৭৬-৯২ শতাংশ লোকের থাকে শুকনো কাশি, ১১-৪৪ শতাংশের ক্লান্তিভাব, পেশিতে ব্যথা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কাশি বা সর্দির লক্ষণ দেখে বোঝা সম্ভব নয় তা সাধারণ ঠা-া লাগা না করোনাভাইরাস। দুই ক্ষেত্রেই লক্ষণ শ্বাসকষ্ট। তবে করোনা হলে জ্বর বাড়তে থাকে দ্রুত, কাশি, ক্লান্তি, গায়ে ব্যথার পাশাপাশি কখনো কখনো বমিও হতে পারে। দুই ক্ষেত্রেই নিউমোনিয়াও দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দুই ক্ষেত্রেই অসুস্থতা অল্পদিন ধরে চলতে পারে বা দীর্ঘদিন ধরে সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। তবু ফ্লু ও করোনা আলাদা। এখন পর্যন্ত জানা গেছে, কোভিড-১৯ এর কারণ শুধু একটি ভাইরাস। ফ্লুয়ের ক্ষেত্রে ভাইরাস একাধিক, তাদের চরিত্রও আলাদা হতে পারে।

"