নিজস্ব প্রতিবেদক
ঘরে থাকবেন নাকি কবরে, সিদ্ধান্ত আপনার : বেনজীর
র্যাবের বিদায়ী মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নাগরিক দায়িত্ব। বল প্রয়োগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিজেকে, পরিবারকে ও দেশকে রক্ষার স্বার্থে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করা। সরকারের পক্ষ থেকে বার বার দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা সত্ত্বেও অনেকেই তা লঙ্ঘন করছেন। এখন আপনি ঘরে থাকবেন নাকি কবরে যাবেন এই সিদ্ধান্তটা আপনার।
গতকাল সোমবার দুপুরে র্যাব মহাপরিচালক হিসেবে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে শেষ সংবাদ সংম্মেলনে (অনলাইন) এ কথা বলেন তিনি। গত বুধবার র্যাবের মহাপরিচালক ড. বেনজীর আহমেদ পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। আগামীকাল বুধবার থেকে এ নিয়োগ কার্যকর হবে।
র্যাবের বিদায়ী মহাপরিচালক বলেন, সবাই ঘরে থাকবেন আর কেউ কেউ বাইরে থাকবেন এটা হতে দেওয়া হবে না। ন্যূনতম প্রয়োজনে বাইরে যাওয়া, আড্ডা দেওয়া, অনর্থক ঘোরাঘুরি থেকে সবাইকে নিবৃত হওয়ার অনুরোধ জানাই।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, গ্লোবাল ফোবিয়া করোনা মহামারির হুমকি ধনী-গরিব সবার জন্য সমান। তাই সর্বসাধারণের জন্য অনুরোধ থাকবে এই ক্রাইসিসের মধ্যে নিজের কথা ভাবুন, দেশের কথা ভাবুন, পরিবারের কথা ভাবুন, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন। এই দায়িত্ব কেবল একার নয়, সবার।
বেনজীর আহমেদ বলেন, আমি ঢাকা মহানগর পুলিশে দীর্ঘদিন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে একটি ক্রান্তিকালে র্যাব মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার দিয়েছিলেন। আমি বিগত পাঁচ বছর তিন মাস মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। র্যাবের ন্যায় ও ন্যায্য কাজের প্রতি গণমাধ্যম সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। এজন্য আমি মহাপরিচালক হিসেবে গণমাধ্যম এবং গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
বেনজীর বলেন, আগামীকাল (আজ) বাংলা নববর্ষ। এবারের নববর্ষের মেজাজ একেবারেই ভিন্ন। করোনা ক্রাইসিস মুহূর্তে আমি সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং সামাজিক তথা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে অনুরোধ করছি।
ত্রাণে নয়ছয় করলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি
করোনা সংকটে যারা ত্রাণ নিয়ে নয় ছয় করছে, তাদের প্রতি হুশিয়ারি জানিয়ে বেনজীর আহমেদ বলেন, ত্রাণ নিয়ে কোনো প্রকার নয়ছয় করতে দেব না। ধরতে পারলে তাৎক্ষণিক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী ত্রাণের অব্যবস্থাপনার বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতির কথা বলেছেন। ত্রাণ কিংবা ভিজিপির চাল নিয়ে নয়ছয় ধরতে পারলে তাৎক্ষণিক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।
র্যাব ডিজি বলেন, আবার কেউ কেউ এক সের চাল দিতে গিয়ে ২০ জন মানুষকে একত্রিত করছেন। যাদের সাহায্যের প্রয়োজন তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়েও দিয়ে আসা যায়। এতে শৃঙ্খলা থাকে। লোকসমাগম করার তো দরকার নেই। সবার উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রয়োজন ছাড়া কোথাও বের হবেন না। এই পরিস্থিতিতে ঘরের বাইরে যাওয়ার চিন্তাও করবেন না। এই মহামারি থেকে রক্ষা পেতে ব্যক্তি সচেতনতা, পারিবারিক সচেতনতা, সামাজিক সচেতনতার, কোনো বিকল্প নেই।
"