নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

গ্রাম উন্নয়নে ইউনিয়নকে ভূমিকা রাখতে হবে

কর্মশালায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় সরকার অর্থাৎ ইউনিয়ন পরিষদকেই বেশি ভূমিকা রাখতে হবে। এর জন্য গ্রামের মানুষকে কর দেওয়ার সুফল বোঝাতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে কেন তাদের কর পরিশোধ করা উচিত। ২০০ টাকা কর দিলে ২০ হাজার টাকার বেশি সুবিধা তারা পাবেনÑ এ বিষয়টি তাদের বোঝাতে হবে। এভাবে গ্রাম নিয়ে সরকারের সমন্বিত উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্ব পালনের ওপর জোর দেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের গ্রান্ড বলরুমে স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত ‘আমার গ্রাম-আমার শহর : প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ কথা বলেন। জনগণের মধ্যে কর দেওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক স্বপ্ন ছিল এ দেশের গরিব মানুষের উন্নয়ন। তার রাজনৈতিক দর্শনকে বাস্তবে রূপ দিতেই বর্তমান সরকার ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মসূচি গত নির্বাচনের ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগব্যবস্থা, অর্থনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন করা হবে।

তিনি আরো বলেন, শহরের নাগরিক সুবিধা গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এ কর্মশালার সুপারিশের ভিত্তিতে একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন বলেন, ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হচ্ছে শহর এবং গ্রামের মধ্যে ব্যবধান কমানো। অর্থনৈতিক মুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বে মাথা উঁচু করে তুলে ধরার উদ্দেশ্যেই এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এই কর্মসূচি কীভাবে বাস্তবায়ন করলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যাবে, তা জানার জন্য কুমিল্লার পল্লী উন্নয়ন একাডেমি এবং বগুড়ার আরডিএতে গবেষণা হচ্ছে। ওই গবেষণাপত্র দিয়েই কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ আগামী চার বছরের মধ্যে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. কাজী আনোয়ারুল হক, ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম আকন্দ। এছাড়াও এ বিষয়ে আলোচনা করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মো. কামাল উদ্দিন তালুকদার, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. খলিলুর রহমান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান প্রমুখ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close