সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

  ১৬ মে, ২০১৯

এবারও ইউরোপের বাজারে যাচ্ছে সাতক্ষীরার আম

এ বছর সাতক্ষীরা থেকে হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আম্রপালি আম যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বাজারে রফতানির জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০০ মেট্রিক টন। তবে সাতক্ষীরার বিখ্যাত হিমসাগর আম পেতে এখনো সময় লাগবে ১৫ দিন। এবার সাতক্ষীরায় আমের ফলন ভালো।

তীব্র তাপদাহের কারণে এ বছর সাতক্ষীরা জেলায় আম আগে থেকেই পাকতে শুরু করেছে। চলতি মাসের শুরুতেই ব্যবসায়ীরা স্থানীয় জাতের আম ভাঙতে শুরু করেছেন। ১২ মে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আদেশের পর গোবিন্দভোগ ও গোপালভোগ আম ব্যাপকভাবে বাজারজাত শুরু হয়। জেলা শহরের বড়বাজার, তালা, পাটকেলঘাটা, নলতা, পারুলিয়া, কালীগঞ্জ ও কলারোয়াসহ গ্রামাঞ্চলের হাটবাজারগুলো আমে ভরে গেছে।

সাতক্ষীরার বড় বাজারের আম ব্যবসায়ী ইদ্রিস মোড়ল জানান, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীরা সাতক্ষীরার বিভিন্ন হাটবাজারে অবস্থান করছে। প্লাস্টিক ক্যারেটে এসব আম প্রক্রিয়াজাত করে পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। প্রতিদিন সাতক্ষীরা থেকে প্রায় ৫ শতাধিক টন আম দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে চলে যাচ্ছে। ১৫ দিন পর হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আম্রপালি আম ভাঙা শুরু হলে আমের বাজার এখানকার বাজারের থেকে দ্বিগুণ হয়ে যাবে। বর্তমানে দেশি আম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা দরে। এছাড়া হিমসাগর বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা প্রতি কেজি। তবে হিমসাগর আম এখনো ভাঙা শুরু হয়নি। কিছু আম যাদের পেকে গেছে শুধুমাত্র তারাই বাজারজাত করছেন।

তালা সদরের শিবপুর এলাকার রাবেয়া বসরী বৈশাখী বলেন, ফলন ভালো হলেও ঝড়ে গাছের আম পড়ে যাচ্ছে। আমের ফলন বেশি হলেও দাম বেশি।

সাতক্ষীরার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন, এ বছর সাতক্ষীরা থেকে হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আম্রপালি আম ইউরোপের বাজারে রফতানির জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০০ মেট্রিক টন। এ কারণে জেলার ১৪ হাজার ৪৫১টি হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আম্রপালি গাছ বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। তাছাড়া আমে কোনো ধরনের কেমিক্যাল মিশ্রণ না করার জন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। কেউ এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close