reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১

লুকিয়ে থাকা রহস্যের সন্ধানে

মিসরের পিরামিড

মিসরীয় পিরামিড সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ স্থাপত্যের একটি। কেননা এটি কখন নির্মাণ করা হয়েছে এই বিষয়ে শক্তিশালী কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এটি যেসময় নির্মাণ করা হয়েছিল, তখন স্থাপত্যের বিকাশ তেমন একটা ঘটেনি, তার পরও কীভাবে এত বড় পিরামিড তৈরি করা হয়েছিল- এটাই সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়। পিরামিড নির্মাণের পেছনেও অনেক রহস্য লুকিয়ে রয়েছে যেমন পিরামিড নির্মাণের উদ্দেশ্য কী এবং কখন এই সুবিশাল পিরামিড নির্মিত হয়েছিল। বেশ কিছুদিন আগে বিজ্ঞানীরা এসব প্রশ্নের কিছু উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই মনে করেন পিরামিড ৩২০০ খ্রিস্টপূর্বে নির্মাণ করা হয়েছিল, তবে অনেক বিজ্ঞানী এটি নিয়ে বিতর্কে লিপ্ত হন এই বলে যে, পিরামিড অন্তত ১০ হাজার বছরেরও পুরোনো। পিরামিডের সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়টি হয় তখনকার সময় ভারী পাথর সরানো বা সাজানোর কাজগুলো কীভাবে করা হয়েছিল; যেখানে পিরামিডের এক একটি পাথরের ওজন দু-নয় টন। এত উঁচুতে তারা কীভাবেইবা পাথরগুলো ওঠাল এবং বসাল। মরুভূমির মধ্যে এত পাথরইবা তারা কোথায় পেল? এসব প্রশ্নের উত্তর আজও বিশ্বের মানুষের কাছে এক রহস্য হয়ে রয়েছে; যা হয়তো পৃথিবী বিলুপ্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত থাকবে।

ডেড সি বা মৃতসাগর

ডেড সি বা মৃতসাগর সম্পর্কিত প্রায় ৯০০টি প্রাচীন তথ্য আবিষ্কার করা হয়েছে ১৯৪৭-১৯৫৬ সালের মধ্যে। এই নথিগুলো থেকে একটি তথ্য পাওয়া যায় যে, এই মৃতসাগরটি ১০০ খ্রিস্টপূর্বের আগে তৈরি হয়েছে। হিব্রু ভাষায় কপারশিটে লিখিত কয়েকটি ডকুমেন্ট পাওয়া গেছে; যেগুলোতে রয়েছে কোথায় কোথায় মহামূল্যবান রত্নভান্ডার ছিল সেগুলোর লিস্ট। অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, ডেড সি বা মৃতসাগর থেকে কিছুটা দূরে ১ বিলিয়নেরও বেশি ডলারের স্বর্ণ ও রৌপ্য এখানে লুকিয়ে রয়েছে।

হারিয়ে যাওয়া স্টোনের তৈরি পেত্রা শহর

ধারণা করা হয় খ্রিস্টপূর্ব ৪ শতাব্দীতে এটি একটি শক্তিশালী রাজ্য ছিল এবং এখানে প্রায় ২০০০০ লোকের দৈনিক সমাগম হতো ব্যবসা বাণিজ্যের কেন্দ্র হওয়ার জন্য। যারা এই শহরের অধিবাসী ছিলেন তারা এই শহরটিকে ভালোবেসে ‘নাবাতাইনস’ বলে ডাকত। আরবীয় যাযাবরের একটি দল পেত্রা আসেন এবং পেত্রায় অবস্থান করেন এবং শহরের সবকিছু পাথর দিয়ে তৈরি করেন। এই শহরের মধ্যে তখনকার সময়ের তৈরি একটি থিয়েটার, মন্দির, ভোজ হল, প্রায় ৩০০০ পাহাড় কেটে সেখানে পাহাড়ি মন্দির তৈরি করা হয়েছিল। এই শহরটি কী কারণে পরিত্যাক্ত করা হয়েছে, এটি নিয়েই রহস্যের সৃষ্টি। তবে অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন, হয়তো ৩৬৩ খ্রিস্টাব্দের প্রলয়ঙ্কারী ভূমিকম্পে শহরটির ৫০ ভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখনো এই শহরটি দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। এটাকে পৃথিবীর সপ্তাচর্যের একটি ধরা হয়।

আফগানিস্তানের লুকায়িত ভান্ডার

১৯৭৯ সালের দিকে সোভিয়েত প্রত্নতত্ববিদ আফগানিস্তানের একটি ভূমি খনন করে ২০০০০ স্বর্ণ

মুদ্রা আবিষ্কার করেন। ধারণা করা হয়, এগুলো ২০০০ বছরের পুরোনো ব্যবহৃত মুদ্রা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, সিল্ক রোডের কাছের শহর ব্যাক্টরিয়ার সংস্কৃতি আফগানিস্তান ইতিহাসের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেউই এই গুপ্তধনের ব্যাপারে সঠিক কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি; তবে অনেকেই মনে করেন এই গুপ্তধন আফগানিস্তান যুদ্ধের পূর্বে কেউ লুকিয়ে রাখতে পারে। এই সব গুপ্তধনের বিষয়টি খুবই সতর্কতার সঙ্গে গোপন রাখা হয়। কেননা ৮০ শতাংশ ধনরত্ন লুট করে নিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হয়। ব্যাক্টরিয়া রাজ্যের গুপ্তধন থেকে ৬টি বড় ধরনের তালা মারা বাক্স পাওয়া গেছে, যেখানে অসংখ্য পরিমাণ স্বর্ণ এবং রৌপ্য পাওয়া

গেছে।

নাজির গুপ্তধন

নাজির গুপ্তধন নিয়ে লোকমুখে অজস্র গল্প রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অনেকগুলো সত্য হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাজি সেনাবাহিনী এডলফ হিটলারের অধীনে যুদ্ধ পরিচালিত করে। অসংখ্য স্বর্ণ রৌপ্য, মূল্যবান কারুকাজ, মূল্যবান শিল্পকর্ম তারা সারা ইউরোপ থেকে সংগ্রহ করেছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকান সেনাবাহিনী তাদের কিছু গুপ্তভান্ডারের খোঁজও পেয়েছিল। যেসব মূল্যবান রত্ন আমেরিকান সেনাবাহিনী উদ্ধার করেছিল এগুলোর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো-

৫৫ বাক্স স্বর্ণ, ১ ব্যাগ প্লাটিনাম, ৭১১ ব্যাগ আমেরিকান পঁচিশ ডলারের গোল্ডের টুকরা, ২০টি রৌপ্যের বার, এইরকম আরো ৪০টি বার পাওয়া গিয়েছিল। যেমন- ৬৩ বাক্স সিলভার এবং ৫৫ ব্যাগ সিলভারের প্লেট। ২.৭৬ বিলিয়ন রিচসমার্কস ইত্যাদি। তথ্য সূত্র : সংগৃহীত

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close