reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৮ জুন, ২০২১

জয়নুল আবেদিন

বাংলাদেশের আধুনিক শিল্পচর্চার জনক

জয়নুল আবেদিনের চিত্রকলাবিষয়ক এই লেখাটি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের কাজের সামগ্রিক পাঠের একটি চেষ্টা। জয়নুল আবেদিন ভারতীয় উপমহাদেশের বিস্ময়কর শিল্প-প্রতিভা। তিনি যেমন ছিলেন একজন শিল্পী, তেমনি ছিলেন এ দেশের আধুনিক শিল্পকলা আন্দোলনের পথিকৃৎ।

আধুনিক শিল্পীদের জীবনের প্রতি এক ধরনের বিতৃষ্ণা রয়েছে। রয়েছে পলায়নপর মনোবৃত্তি। তারা চাইতেন অন্ধকার ও মৃত্যুর কাছে আশ্রয়। যন্ত্রযুগের অসংগতি ও নিষ্পেষণের কারণ। কিন্তু শিল্পাচার্য জয়নুলকে যান্ত্রিক যুগযন্ত্রণা স্পর্শ করতে পারেনি। বরং তার ছবিতে প্রধান হয়ে উঠেছে লোকসমাজ। এই ক্ষেত্রে তিনি প্রচলিত ধারার অনুসারী। এই ধারার প্রধান শিল্পীও তিনি। আবহমান বাংলার নিসর্গ ও মানুষের কর্মময় জীবনের চিত্র কালজয়ী হয়ে আছে তার চিত্রকর্মে। মুসলমান পরিবারে জন্ম নেওয়া জয়নুল ভারতীয় পুরাণে আশ্রয় নেননি।

জয়নুল আবেদিনের শিল্পচেতনার বিকাশকে তিনটি স্তরে ভাগ করা যায়। প্রথম স্তরে পরে ছাত্রজীবন এবং তৎপরবর্তী কয়েক বছর। এ স্তরে জয়নুল ছিলেন সহজাত শিল্পী। মানুষ ও নিসর্গের প্রতি তার ছিল প্রবল অনুরাগ। কলকাতা আর্ট স্কুলের বার্ষিক চিত্র প্রদর্শনীতে ‘বাঁশের সাঁকো’ শীর্ষক জলরং চিত্রের জন্য প্রশংসিত হন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র জয়নুল। এ স্তরে তার উল্লেখযোগ্য চিত্রকর্মের মধ্যে রয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদের স্কেচ, শম্ভূগঞ্জ ঘাট, হাঁস, পল্লীদৃশ্য, জেলে নৌকা, পুল ইত্যাদি।

জয়নুলের দ্বিতীয় পর্বের যাত্রা শুরু হয়েছে দুর্ভিক্ষ-সংক্রান্ত চিত্রমালার মাধ্যমে। এ সময় তিনি মানবতার লাঞ্ছিত রূপ দেখে মর্মাহত হয়েছেন। ১৩৫০-এর মন্বন্তর জয়নুলের মতো মহান শিল্পী সৃষ্টি করেছে; কিন্তু সমাজকর্মী তৈরি করেনি। এসব চিত্রে প্রতীকচিত্র হিসেবে নারী ও পুরুষের পাশাপাশি ব্যবহৃত হয়েছে কাক, কুকুর, শূন্য থালা, পানির কলসি ইত্যাদি। দুর্ভিক্ষের চিত্রগুলোর শিরোনাম ‘দুর্ভিক্ষ-১৩৫০ বাংলা’। খাদ্যে স্বনির্ভর বাংলাদেশে খাদ্যের অভাবে দুর্ভিক্ষ হয়নি। দুর্ভিক্ষ হয়েছে ইংরেজ শাসকদের দ্বারা সৃষ্ট জমিদার, মজুদদার ও ফরিয়াদের কারণে। তখন বাজারে চাল ছিল, কিন্তু কৃষকদের হাতে টাকা ছিল না।

এই সম্পর্কে জয়নুলের বক্তব্য হচ্ছে ‘তারপর এলো দুর্ভিক্ষ। আমি কলকাতায় সেই ভয়াবহ দৃশ্যাবলি ধরে রাখতে চাইলাম। চটপট কাজ করতে হয়। তা ছাড়া সব জিনিসের দাম চড়া, আমি সস্তা কাগজে, দ্রুত অবিরাম এঁকে গেলাম, শত শত স্কেচ, দুর্ভিক্ষের বিভিন্ন দৃশ্য। প্রয়োজনের তাগিদে, নেহাত অব্যবস্থার প্রয়োজনে আমার স্টাইল বদলে গেল। এক্সপ্রেশনিস্ট হলাম, খুব সহজ অথচ শক্ত রেখায়। কিছুটা জ্যামিতিক আকৃতির মধ্যে সেসব দৃশ্য ধরে রাখতে চাইলাম।’

এ কারণে তার দুর্ভিক্ষের চিত্রমালায় শীর্ণকতায় মানবদেহগুলো দীর্ঘ হয়েছে। এর ফলে তাদের ওপর যে দুর্ভিক্ষের প্রভাব, তা ভয়াবহভাবে মূর্ত হয়ে উঠেছে। এ সময়ের চিত্রে আবেদিন মন্বন্তরের অযাচিত মৃত্যুর দৃশ্যপট উন্মোচন করলেন। মৃত্যুময়তা এবং মৃত্যুপথযাত্রায় অথবা বুভুক্ষায় দুর্বল অসহায় শরীরগুলো বিচিত্র আকৃতি নিয়ে আবেদিনের দীপ্ত মোটা তুলির টানে বিস্ময়কর স্তব্ধতায় প্রকাশিত হলো। নতুন বিষয়ের নতুন আবেদনে আবেদিন সবাইকে অভিভূত করলেন। এ চিত্রগুলোতে সমাজের কোনো সমালোচনার অথবা রাজনীতির কোনো প্রেক্ষাপট ছিল না, ছিল শিল্পী আবেদিনের স্বকীয় জীবনগত কৌতূহলের উপস্থাপনা।

১৯৪৭ উত্তরকালে জয়নুলের শুরু হয়েছে তৃতীয় পর্ব। এ পর্বে তার চিত্রকলায় স্থান করে নেয় বাস্তববাদী চিত্র। শিল্পকলার জগতে বাস্তববাদী আন্দোলনের মূলে ছিল বুদ্ধিবৃত্তি, আধ্যাত্মিকতা ও ভাবালুতা পরিহার। এ সময়ের চিত্রকলায় তিনি চিরায়ত মাতৃত্ব ও নিসর্গের সঙ্গে লোকসংস্কৃতিকে যুক্ত করেছেন। এ পর্বে তিনি আরো গুরুত্বপূর্ণ যে কাজ করেন তা হলো চারুকলা শিক্ষার জন্য ইনস্টিটিউট স্থাপন ও লোকশিল্প জাদুঘর প্রতিষ্ঠা। এ সময়ে তিনি বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকশিল্প সংগ্রহ করেছেন। এসব লোকশিল্পের মধ্যে রয়েছে নকশিকাঁথা, দারুশিল্প, শখের হাঁড়ি, বিচিত্র রঙের পুতুল ইত্যাদি। আর এসব লোকশিল্পের রূপকল্প তার চিত্রকর্মে ব্যবহার করেছেন।

জয়নুল আবেদিনের ছবি এক অন্তহীন সামাজিক দ্বান্দ্বিকতাকে তুলে ধরে। আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখায় অসম সেই সমাজব্যবস্থাকে, যা তৈরি করে দুর্ভিক্ষ, মহামারি, শোষণ এবং বঞ্চনার একটি চিরন্তন কোলাজ। জয়নুলের ছবি আমাদের সচেতন করে দরিদ্র মানুষদের দ্বিমুখী বঞ্চনার বিষয়ে। এক, তাদের দারিদ্র্য এবং শ্রেণিগত শোষণ, দুই, তাদের রাজনৈতিক পরাধীনতা। মুক্তিযুদ্ধ জয়নুলকে প্রবলভাবে আলোড়িত করেছিল, কারণ শুধু বাঙালির নয়, পরাশক্তি বা উপনিবেশী শক্তির হাতে নিপীড়িত যেকোনো জনগোষ্ঠীর মুক্তিও তার কাছে কাম্য ছিল। এজন্য ফিলিস্তিনের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি তার পূর্ণ সমর্থন ছিল, যা তার ছবিতে দেখা যায়। মুক্তিযুদ্ধের ওপর করা জয়নুলের স্কেচ ও ড্রইংগুলোতে তিনটি বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে পাকিস্তানিদের হিংস্র আক্রমণ, বাঙালি যোদ্ধাদের প্রতিরোধ এবং যুদ্ধের বীভৎসতা ও ধ্বংসলীলা।

পাকিস্তানিদের তিনি সরাসরি আঁকার চেয়ে এঁকেছেন মেটোনিমির মাধ্যমে, যেমন একটি উদ্যত বুট, যা নিরীহ কিছু মানুষকে পিষে দিতে চাইছে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের তিনি এঁকেছেন তাদের শৌর্যবীর্য নিয়ে এবং যুদ্ধের বলি মানুষজনের ছবি আঁকায় জয়নুল বেশ স্পষ্ট। পাশাপাশি জয়নুলের ছবিতে আছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নিসর্গদৃশ্য এবং আছে নানা পেশার নারী ও পুরুষের ছবি। প্রকৃতপক্ষে জয়নুল ছিলেন সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ একজন শিল্পী এবং সমাজবাস্তবতা ছিল তার নান্দনিক চিন্তার ভিত্তি। এ শুধু কথার কথা ছিল না, বরং তা তার শিল্পচর্চায় গতিশীলতা দিয়েছে।

জয়নুলের ভেতরে ক্রিয়াশীল ছিল একটি দ্বন্দ্ব এবং সেটি স্পষ্ট হয় তার বিষয় নির্বাচনে, তার শৈলীগত প্রাধান্য নির্ধারণে। তিনি প্রাচ্যবাদী চিন্তার মিস্টিক প্রকাশে কখনো আবিষ্ট হননি। কারণ তার ভেতরের দ্বন্দ্বটি তাতে মেটার সম্ভাবনা ছিল না। বাস্তবতার একটি চর্চায় বরং সেটি সম্ভব ছিল এবং এই দ্বন্দ্বটি ছিল তার মানুষ হিসেবে একটি অবস্থান গ্রহণ এবং শিল্পী হিসেবে একটি অবস্থান গ্রহণের মধ্যে। শিল্পী কি পারেন, তার একান্ত নিজস্ব নন্দনচিন্তায় মগ্ন হয়ে সৃষ্টিশীলতায় প্রকট বাস্তবতা কখনো হানা দেবে না, অথবা দিলেও তার প্রকাশটি হবে বড়জোর নমিত এবং সংযত? নাকি একজন শিল্পী অবতীর্ণ হবেন একজন যোদ্ধার ভূমিকায়? নাকি একটি মধ্যবর্তী পথ রয়েছে যেখানে শিল্পীর চিন্তা ধারণ করবে একই সঙ্গে সমাজবাস্তবতা এবং নন্দনচিন্তার প্রগাঢ় উৎসার এবং একটি প্রভাবিত করবে অন্যটিকে? জয়নুলের ছবি দর্শককে সেই প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়।

জয়নুলের ছবিতে দরিদ্র মানুষের কষ্টের জীবন বহুবার বিধৃত হয়েছে, কিন্তু কোনো করুণা সঞ্চারিত হয় না ছবিগুলোতে, যেন তাদের করুণা করা হোক, দরিদ্র মানুষ তা চায় না। বরং ক্রোধেরই সঞ্চার হয়। দুর্ভিক্ষের চিত্রমালা এক একটি আয়নার মতো, যাতে ধরা পড়ে যত না মৃত্যু, ক্ষুধা এবং বঞ্চনার ছবি, তার থেকে বেশি মানুষের শঠতা এবং লালসার চিত্র এবং সেসব চিত্রে আমরা নিজেদেরই দেখি হঠাৎ করে। এমনকি মনপুরা বা ঘূর্ণিঝড়ের স্ক্রলচিত্রেও দর্শক করুণা করার সুযোগ পান না মৃত মানুষদের। সেসব ক্রল তাদের বিশালতা নিয়ে জীবনেরই এক একটা প্রতীক হয়ে দাঁড়ায় এবং আমরা তাদের ভেতরে প্রবেশ করি।

জয়নুল বাস্তবকে পড়েছেন একজন নিবিষ্ট পড়ুয়ার মতো। তার এই পঠনে সমাজের নানা উত্থান-পতন, ইতিহাস ও রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ ছিল। তিনি পরাধীন দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং ছাত্র-জনতার নানা আন্দোলনকে সামনে থেকে দেখেছেন। তিনি সচেতন ছিলেন বিভিন্ন কৃষক আন্দোলন সম্পর্কে এবং তার সহানুভূতি ছিল নিম্নবর্গীয় সেই সংগ্রামী মানুষগুলোর প্রতি, ছিল সমর্থন ও শ্রদ্ধা।

ফেরিঘাটে অপেক্ষমান উদাসীন মানুষ ও ছেলেটি থেকে বন্দুক হাতে যুদ্ধরত মুক্তিযোদ্ধা; প্রসাধনরত মহিলা থেকে জলকে চলা গৃহবধূ সবাই তার রাজনীতির কুশীলব। কারণ তারাই তার দেশের ও সময়ের রূপকার। কিন্তু তিনি কোনো সহজ সমাধানে বিন্যস্ত করতে চাননি তাদের জীবনকে, কোনো আশাবাদী চেতনার আবরণে আড়াল করতে চাননি তাদের জীবনযাপনের কষ্ট এবং সংগ্রামকে। বরং তিনি জোর দিয়েছেন তাদের বাস্তবতার ওপর, যে বাস্তবতা একসময় তাদের অন্তর্গত সৃজনশীলতাকে জাগিয়ে তুলে তাদের নিজেদের একটি গন্তব্যে নিয়ে যাবে।

প্রচ- শক্তিশালী এবং অত্যন্ত সংবেদনশীল এক শিল্পী জয়নুল আবেদিন। শিল্পকলাকে কখনই তিনি সাধারণ জীবনের বাইরের কোনো বিষয় বলে গণ্য করেননি। ‘শিল্পের জন্য শিল্প’ এমন আদর্শের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলেন না জয়নুল আবেদিন। আবার প্রোপাগান্ডা আর্টেও তিনি বিশ্বাস করতেন না। শিল্প জীবনেরই অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, এটাই ছিল তার দর্শন। তার কাছে শিল্প হচ্ছে জীবনেরই এক প্রকাশ আর এর উদ্দেশ্য হলো মানবসমাজকে সমৃদ্ধ ও সুন্দর করে তোলা।

তার নিজের মুখের কথাই তার জীবনদর্শন ও শিল্পচিন্তার পরিচায়ক। তিনি বলেন, ‘আমি নিজে শিল্পকর্ম করে যতটা আনন্দ পাই তার চেয়ে বেশি আনন্দ পাই শিল্পকে সুপ্রতিষ্ঠিত হতে দেখলে, আমার নিজের শিল্পকে জীবনে প্রবিষ্ট হতে দেখলে। ছবি আঁকার সাফল্যের চেয়ে আমি তৃপ্তি পাই আরো অনেকে ছবি আঁকতে পারবে এমন একটি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করার প্রচেষ্টায়। কেননা এখান থেকে জন্ম নেবে সুন্দরের নির্মাতারা, এখান থেকে জন্ম নেবে সুন্দরের চিন্তা ও সুন্দর। আমি একটি সুন্দর বা মহৎ ছবি এঁকে আর কতদূর কী করতে পারব। ‘শিল্পকলা শুধু শিল্পকলার জন্য’, এ ধরনের বিশ্বাস আমার নয়। আমি বিশ্বাস করি শিল্পকলা মানুষের জন্য। তার জীবনকে সুঠাম ও সুন্দর করার জন্য। প্রকৃতি, মানুষ, জীবন সবকিছু যখন এক হয়ে যাবে তখনই সম্ভব হবে সবচেয়ে সুন্দরের সৃষ্টি। সেই অবস্থায় আমাদের পৌঁছাতে হবে, সব মানুষকে, সারা বিশ্বের মানবসমাজকে। বাঙালি জাতিকেও এ অবস্থায় পৌঁছাতে হলে সবাইকে সুন্দরের মর্ম বোঝাতে হবে, শিল্পকলার চর্চা সেজন্যই সর্বজনীন করা একান্ত বাঞ্ছনীয়। তার জন্য জাতীয় চিত্রশালা, জাতীয় লোকশিল্প জাদুঘর ইত্যাদি প্রয়োজন। চাই সর্বস্তরে শিল্পশিক্ষা। অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য যেমন কাম্য, তেমনি কাম্য হওয়া উচিত সুন্দর রুচিশীল ও সৎ জীবন, শৈল্পিক জীবন। আমি বারবার বলি, আমাদের বর্তমান দুর্ভিক্ষ ততটা ভাতের নয়, যতটা রুচির দুর্ভিক্ষ। একে দূর করতেই হবে। হয়তো অর্থনৈতিক দারিদ্র্য এবং রুচির দারিদ্র্য সমান্তরালভাবে অগ্রসর হয়। সে ক্ষেত্রে আমাদের সংগ্রাম ওই উভয় দারিদ্র্যের বিরুদ্ধেই হওয়া উচিত। আমি সুন্দর প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের অন্যতম সৈনিক মাত্র।’

আবেদিন আজীবন রেখাঙ্কনে এবং কম্পোজিশনে তার যৌবনকালের বোধ ও স্বভাবকে ধরে রেখেছিলেন। পাশ্চাত্য শিল্প-ব্যাকরণ তাকে প্রভাবিত করতে পারেনি। এমনকি তিনি বিদেশি রংও ব্যবহার করতে চাইতেন না, প্রয়োজনে সম্পূর্ণ দেশজ উপাদান দিয়ে রং তৈরি করে নিতেন। নতুন নতুন আঙ্গিক, বর্ণ প্রয়োগে নব নব বিভা এবং ডিজাইনের বিভিন্ন প্রকার ‘বিভঙ্গ’ আবেদিনের সৃষ্টিতে আমরা পাই না। কিন্তু তিনি শিল্প সাধনায় সব সময় নেতৃত্ব দিয়েছেন। তরুণ শিল্পীদের উৎসাহিত করেছেন। তার শিল্পের সম্পূর্ণ বিরোধী আঙ্গিককেও তিনি স্বাগত জানিয়েছেন। তার ঔদার্য ও সমর্থনে আমাদের দেশে নতুন নতুন শিল্পভঙ্গী জন্ম নিয়েছে। তিনি বাংলাদেশের আধুনিক শিল্পচর্চার জনক এবং এখনো পর্যন্ত এ দেশের চিত্রকলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিল্পী।

তথ্যসূত্র : সংগৃহীত

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close