আফগানদের কাছে সিরিজ খোয়াল বাংলাদেশ
আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজে প্রথম ম্যাচ হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজ সমতায় এনেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ফলে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ হয়ে দাঁড়িয়েছে অলিখিত ফাইনাল।
এমন ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী হাসান মিরাজের অর্ধশতকে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গুরবাজের শতকে ১০ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের জয় পায় আফগানরা। তাতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নেয় হাসমতউল্লাহর দল
আফগানিস্তানের হয়ে রান তাড়া করতে নামেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও সিদিকুল্লাহ আতাল। অষ্টম ওভারে ১৪ রান করা আতালকে বোল্ড করে তাদের ধাক্কা দেন নাহিদ। এরপর রহমত শাহকে ৮ রানে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন মুস্তাফিজুর রহমান।
হাশমতউল্লাহ শাহিদি ৬ রানে ফিরলে কিছুটা চাপে পড়ে আফগানরা। তবে তিন উইকেট হারালেও দলটির রানের গতিতে ভাটা পড়েনি। রহমত শাহ ও হাসমতউল্লাহ শহীদীর কাছ থেকে উপযুক্ত সঙ্গ না পেলেও রহমানউল্লাহ গুরবাজ একাই দলকে টেনে নিতে থাকেন। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
যেখানে মূল ভূমিকা গুরবাজের। তার শতকে জয়ের ভিত পায় আফগানরা। শেষ দিকে ওমরজাইর ৭০ ও নবীর ৩৪ রানের ক্যামিওতে ১০ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় আফগানরা। তাতে তিন ম্যাচ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিজেদের করে নেয় স্বাগতিকরা।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। তামিম দেখেশুনে খেললেও শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলছেন সৌম্য। মাঝে দুইবার জীবন পান তানজিদ তামিম। তবে একপ্রান্তে সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন সৌম্য। আফগান বোলারদের ওপর চড়াও হন তিনি। ৫০ রানের জুটি গড়েন এই দুই টাইগার ওপেনার।
তবে দলীয় ৫৩ রানে জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ২৩ বলে ২৪ রান করে আউট হন সৌম্য। আজমতুল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। সৌম্যের বিদায়ের পর সাজঘরের পথ ধরেন তানজিদ তামিম। মোহাম্মদ নবির বলে হাশমতুল্লাহ শাহীদির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। ২৯ বলে ১৯ রান করেন এই ওপেনার।
এরপর শান্তর জায়গায় এ ম্যাচে একাদশে সুযোগ পেয়েছেন জাকির হাসান। মিরাজের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ব্যক্তিগত ৪ রানে রান আউট হন তিনিও। তাতে দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে টাইগাররা। সেই ধাক্কা সামাল দিতে চেষ্টা করেছিলেন তাওহীদ হৃদয়। তবে ফের ব্যর্থ হৃদয় জুটি গড়তে।
দলীয় ৭২ রানে রাশিদ খানের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন হৃদয়। তাতে বাংলাদেশের চাপ বাড়ে আরও। যাওয়ার আগে ১৪ বলে ৭ রান করেন তিনি। আর সিরিজের তিন ম্যাচ মিলিয়ে হৃদয়ের সংগ্রহ মাত্র ২৯ রান। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মিরাজ। দুজনের ব্যাটে দলীয় শতক পার করে টাইগাররা। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৬৩ বলে ফিফটি তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ। এরপরই ১০৬ বলে ফিফটির দেখা পান মিরাজও।
পঞ্চম উইকেটে ১৪৫ রানের বিশাল জুটি গড়েন রিয়াদ ও মিরাজ। শততম ওয়ানডে খেলতে নামা মিরাজ ৬৬ রানে আউট হলে ভাঙে এ জুটি। জাকের আলী আজ সুবিধা করতে পারেননি। ফেরেন মাত্র ১ রানে। সঙ্গীদের বিদায়ে একপ্রান্ত ধরে খেলেন রিয়াদ। ক্যারিয়ারের পঞ্চম শতকের কাছে গিয়েও হতাশ হন রিয়াদ। ইনিংসের শেষ বলে ৯৮ রানে রান আউট হন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
পিডিএস/এমএইউ