শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে এসি মিলানের কাছে বিধ্বস্ত রিয়াল
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাজা বলা হপ্য রিয়াল মাদ্রিদকে। ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের এ প্রতিযোগিতায় ম্যাচ জেতার কোনো একটি উপায় শেষ পর্যন্ত খুজেই নেয় স্প্যানিশ জায়ান্টরা। তবে এবার আর তা হয়নি। ঘরের মাঠে ৩-১ গোলের পরাজয়ের স্বাদ নিতে হোলো লস ব্লাঙ্কোসদের। সেটিও আবার সবশেষ ম্যাচে এল ক্লাসিকোতে বার্সেলোনার কাছে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পরের ম্যাচেই।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গতকাল নিজেদের এসি মিলানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল রিয়াল। এর আগে রিয়াল সবশেষ মাঠে নেমেছিল লা লিগায় নিজেদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার বিপক্ষে। সেই ম্যাচটিও ছিল ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে। তবে সেদিন কাতালান ক্লাবটির কাছে ৪-০ গোলে পরাজিত হয়ে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা, এরপর হয়েছে ব্যালন ডি অর বিপর্যয়। এসবের জবাবে গতকাল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে রিয়াল দুর্দান্ত এক জয় তুলে নেবে এমনটাই ভেবেছিল সবাই। তবে তা হয়নি।
এসি মিলানের বিপক্ষে রিয়ালের এই ম্যাচটি শুরুই হয় এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে। ভ্যালেন্সিয়ায় আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি শোক জানাতেই এই আয়োজন। এরপর খেলা শুরুর পরই আক্রমণে যায় রিয়াল। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। তবে তার নেয়া শট গোলরক্ষকের পরীক্ষা নিতে পারেনি।
এদিকে রিয়াল শুরুতে আক্রমণে গেলেও ম্যাচের প্রথম গোলটি পায় মিলানই। ম্যাচের ১২ মিনিটেই রিয়ালের বিপক্ষে এগিয়ে যায় মিলান। কর্নার থেকে বল পেয়ে হেডে বল জালে জড়ান মিলানের মালিক চিয়াও।
এদিকে পিছিয়ে পড়ার পর সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে লড়াই শুরু করে রিয়াল। দ্যেকটি সুযোগও পেয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস-এমবাপেরা। তবে সেসব কাজে লাগাতে পারেননি এ দুজন। এদিকে ম্যাচের ২৩ মিনিটেই পেনাল্টি আদায় করেন ভিনিসিয়ুস, আর স্পটকিক থেকে পানেঙ্কা শটে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা।
সমতায় ফেরার পরও বেশ কয়েকবার দারুণ আক্রমণে গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল রিয়াল। তবে মিলানের রক্ষণের দৃড়তায় সুবিধা করে ওঠতে পারছিলেন না ভিনিসিয়ুসর। এদিকে রিয়াল না পারলেও গোল ঠিকই আদায় করে নেয় মিলান। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে রাফায়েল লিয়াওয়ের শট ফিরিয়ে দিলেও ফিরতি শটে লক্ষ্যভেদ করেন আলভারো মোরাতা।
দ্বিতীয়বার পিছিয়ে পড়ার পর প্রথমার্ধের শেষদিকে বল পেয়ে ক্ষিপ্র গতিতে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে দারুণ এক শট নিয়েছিলেন এমবাপে। তবে তার শট ফিরিয়ে দেন মিলান গোলরক্ষক মাইক মানিয়া। এদিকে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পর একাদশে বদল আনেন আনচেলত্তি। অরেলিয়েঁ চুয়ামেনির জায়গায় ব্রাহিম দিয়াজ এবং ফেদে ভালভের্দের জায়গায় এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গাকে মাঠে নামান ইতালিয়ান এই কোচ।
একাদশে বদল আনার পর রিয়ালের খেলার গতি বাড়ে। তবে একের পর এক আক্রমণে গেলেও গোলের দেখা পায়নি রিয়াল। এদিকে ম্যাচ যত এগোতে থাকে মিলান আক্রমণের ধার বাড়ায়। শেষ পর্যন্ত সফল হয় মিলানই। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে মিলানকে তৃতীয় গোলটি এনে দেন তিজানি রেইনডার্স। এরপর শেষ পর্যন্ত রিয়াল আর গোল করতে না পারায় মাঠ ছাড়তে হয় ৩-১ গোলের হার নিয়েই।
পিডিএস/এমএইউ