১৪ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ড
ডেথ ওভারে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে ধস নামিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার ফাইনালে খেলার স্বপ্ন দেখতে থাকে। সেমিফাইনালে ১২৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল ২০১৬ সালের চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকলে চাপ বাড়ে। তবুও তারা শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াইয়ে টিকে ছিল। শেষ ৬ বলে লাগতো ১৫ রান। চলতি টুর্নামেন্টে একটিও বল না করা সুজি বেটস গুরুদায়িত্ব নেন, প্রথম বলেই চার হজম করেন। পরের পাঁচটি ডেলিভারি আঁটসাঁট করে মাত্র ২ রান দেন, নেন জাইদা জেমসের বিপজ্জনক উইকেট! তাতে ৮ রানের চমৎকার জয়ে ১৪ বছর পর ফাইনালে নিউজিল্যান্ড।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লাগাম টেনে ধরতে বল হাতে দুর্দান্ত ভূমিকা রাখেন এডেন কার্সন ও অ্যামেলিয়া কার। টপ থেকে মিডল অর্ডারে কাঁপন ধরান এই দুই বোলার।
নিউজিল্যান্ডের চমৎকার বোলিং ছাপিয়ে দিয়েন্দ্রা ডট্টিন চোখ রাঙাচ্ছিলেন। তার ২২ বলে ৩ ছয়ে সাজানো ৩৩ রানের ইনিংস থামান কার। এরপর অ্যাফি ফ্লেচার (১৭*) ও জাইদা জেমসের (১৪) ক্যামিও ইনিংসে লড়াই ধরে রেখেছিল উইন্ডিজ। কিন্তু তা সাফল্য এনে দিতে পারেনি ক্যারিবিয়ানদের। ৮ উইকেটে ১২০ রানে থামে তারা।
টপ অর্ডারে ধাক্কা দেওয়া কার্সন ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন। দুটি পান কার।
শারজায় আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ড বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু ডেথ ওভারে বিপাকে পড়ে তারা। শেষ পাঁচ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তারা তোলে মাত্র ৩০ রান। ডট্টিন ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে বিপদে ফেলেছিলেন। তাতে ৯ উইকেটে ১২৮ রান সংগ্রহ করে কিউইরা।
তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন ওপেনার জর্জিয়া প্লিমার। ২৬ রান আসে সুজির ব্যাট থেকে। ব্রুক হালিডে ৯ বলে ১৮ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন। ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন ইসাবেল্লা গেজ।
২০০৯ সালে ইংল্যান্ড এবং ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ফাইনালে হেরে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। এবার ট্রফি খরা ঘুচাতে তারা মুখোমুখি হবে গতবারের রানার্সআপ দক্ষিণ আফ্রিকার। আগামী রবিবার হবে শিরোপার লড়াই। যে দলই জিতুক না কেন, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের তালিকায় যুক্ত হবে নতুন নাম।