স্কটল্যান্ডের জালে জার্মানির গোল উৎসব
ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ৫–১ গোলে উড়িয়ে ইউরোতে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল জার্মানি। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দ্বিতীয় ম্যাচে হাঙ্গেরিকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। সেই সঙ্গে টানা দুই জয়ে শেষ ষোলোর দ্বারপ্রান্তে রয়েছে জার্মানরা।
বুধবার (১৯ জুন) ম্যাচ শুরুর ২০ সেকেন্ড না পেরোতেই প্রথম গোল হজম করে বসতে পারত জার্মানি। ম্যানুয়াল নয়্যারের দৃঢ়তায় অল্পের জন্য সে যাত্রায় বেঁচে যায় স্বাগতিকরা। এরপরই অবশ্য ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় জার্মানি।
মাঝমাঠ নিজেদের দখলে রেখে আক্রমণে গিয়ে সুযোগ তৈরির চেষ্টা করে জার্মানরা। ৬ মিনিটের মাথায় অবশ্য আবারও দারুণ একটি সুযোগ তৈরি করে হাঙ্গেরি। তবে গোল পাওয়া হয়নি এবারও।
১১ মিনিটের মাথায় জার্মানিকে এগিয়ে দেওয়ার দরুণ একটি সুযোগ আসে কাই হাভার্টজের সামনে। তবে গোলরক্ষককে একা পেয়েও শেষ পর্যন্ত গোল আদায় করতে পারেননি আর্সেনাল তারকা। একটু পর বায়ার লেভারকুসেন তারকা রবার্ট এনড্রিচের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় হাঙ্গেরির রক্ষণ দৃঢ়তায়।
ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এ সময় জার্মানির কাছে থাকলেও, প্রতি–আক্রমণে ভীতি সৃষ্টি করছিল হাঙ্গেরিও। তবে ২২ মিনিটের মাথায় নিজেদের ভুলে গোল হজম করে বসে হাঙ্গেরি। স্কটল্যান্ডের ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও জার্মানদের হয়ে পেয়েছেন জামাল মুসিয়ালা।
এ গোলে আক্রমণের শুরুটা করেছিলেন মুসিয়ালাই। একটু পর অবশ্য অল্পের জন্য সমতা ফেরানো হয়নি হাঙ্গেরির। লিভারপুল মিডফিল্ডার ডমিনিক সোবোসলাইয়ের ফ্রি–কিক থেকে নেওয়া দুর্দান্ত শটটি দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন অভিজ্ঞ নয়্যার।
২৯ মিনিটে আবারও আক্রমণে যায় হাঙ্গেরি। এবার সোবোসলাইয়ের শট ঠেকান জোনাথন টা। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে জার্মানির জালে ঠিকই বল জড়ায় হাঙ্গেরি, তবে অফসাইডের ফাঁদে বাতিল হয় সে গোল।
বিরতির পরও খেলার ধারা ছিল একইরকম। জার্মানির নিয়ন্ত্রণের বিপরীতে হাঙ্গেরির চেষ্টা করছিল প্রতি–আক্রমণ থেকে গোল আদায়ের। তবে দুই দলই কাছাকাছি গিয়ে বারবার নিরাশ হচ্ছিল।
ম্যাচের ৬০ মিনিটে অল্পের জন্য ফের গোলবঞ্চিত হয় হাঙ্গেরি। বাঁচা–মরার এ লড়াইয়ে জার্মানির কাছ থেকে পয়েন্ট কেড়ে নেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা এ সময় করেছে হাঙ্গেরি। কিন্তু ফিনিশিং ঘাটতির কারণে বারবার হতাশ হতে হয়েছে দলটিকে।
হাঙ্গেরি না পারলেও জার্মানি ঠিকই দ্বিতীয় গোল আদায় করে নেয়। ৬৭ মিনিটে দারুণ এক দলীয় আক্রমণ থেকে গোল করে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেন জার্মান অধিনায়ক ইলকাই গুন্দোয়ান।
দুই গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পরও অবশ্য হাঙ্গেরি চেষ্টা করেছে ম্যাচে ফেরার। কিন্তু জার্মানির রক্ষণ দেয়ালকে ভাঙতে পারেনি তারা। ফলে হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের।
পিডিএস/এমএইউ