সাকিবের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের স্টাইলিশ খেলোয়াড় তাসকিন
আর ৪ দিন পার মাঠে গড়াতে যাচ্ছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। অংশগ্রহণকারী ১০টি দল বর্তমানে আয়োজক দেশ ভারতে অবস্থান করছে। কিন্তু বিশ্বকাপ শুরুর আগে বাংলাদেশ দলের ওপর দিয়ে বইয়ে যাচ্ছে ঝড়।
বিশ্বকাপে অংশ নেয়ার জন্য দেশ ছাড়ার আগে বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেল সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ দল ভারতে পৌঁছানোর পর সেই সাক্ষাৎকারটি দুই অংশে প্রচার করে টেলিভিশন চ্যানেলটি। সেখানেই টাইগার অধিনায়কের বিস্ফোরক বক্তব্য তোলপাড় ফেলে দেয় দেশের ক্রিকেটে।
এরপর বাংলাদেশের দুই অধিনায়কের পর নিজের পেজ থেকে ভিডিও বার্তা দেন সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা। সেখানে তিনি তামিম-সাকিব ইস্যু নিয়ে কথা বলেন।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জনপ্রিয় এক ইউটিউবার ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার প্রকাশ করেছেন সুপার সাকিবের আরও একটি সাক্ষাৎকার। যেখানে সাকিব তার খেলোয়াড়ি জীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও দিয়েছেন অজানা কিছু উত্তর।
দেশের জনপ্রিয় ইউটিউবার ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার রাফসান তার ফেসবুক পেজ রাফসান দ্য ছোটো ভাইতে সাকিবের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। যেটি সাকিব বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়ার আগেই তাকে দিয়েছিলেন। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টায় সাক্ষাৎকারটি নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন রাফসান।
এই সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে রাফসান জানতে চান সাকিব ব্যতিত বাংলাদেশ দলের মধ্যে স্টাইলিশ খেলোয়াড় কে।
উত্তরে সাকিব বলেন, জাতীয় দলে তো দেখি সবাই খুব ফ্যাশনেবল। সবাই ফ্যাশন করার চেষ্টা করে। আই উড সে তাসকিন।
সাক্ষাৎকারের প্রথমেই রাফসান সাকিবের কাছে তার জীবনের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং দুটি সময় সম্পর্কে জানতে চাইলে সাকিব বলেন, ‘চ্যালেঞ্জিং টাইম যদি বলতে হয় তবে দুইবার বলব, যখন সাসপেন্ড হয়েছি দুইবার।’ উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ‘মারাত্মক ধরনের আচরণগত সমস্যার কারণ দেখিয়ে ২০১৪ সালে সাকিবকে ৮ মাসের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করে। তবে শাস্তির সাড়ে তিন মাস যেতে না যেতেই বিসিবি তার সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।
এরপর, ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বারের মতো সাকিব ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন। এবারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)’র দুর্নীতি বিরোধী কমিশন (আকসু) সাকিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী আইন ভঙ্গের অভিযোগ এনে এক বছরের জন্য সকল ধরনের ক্রিকেট ও ২ বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করে। বাজিকরদের সঙ্গে যোগাযোগ ও এ বিষয়ে দুর্নীতি বিরোধী কমিশনকে না জানানোয় এই নিষেধাজ্ঞা এসেছিল তার ওপর।
সাকিব তার এই দুটি সময়কে একজন রাজনীতিবিদের জেলে বন্দী থাকার সঙ্গে তুলনা করে বলেন, যদি আমি পলিটিশয়ান হতাম, জেলে গেলে যেমন অবস্থা হয় বা একটা সাধারণ মানুষ যদি জেলে যায়, তার জন্য যে জিনিসটা হয় আমার কাছে ক্রিকেট না খেলাটা তেমন অবস্থা। সেদিক থেকে আমার জীবনে দু’বার এমন অবস্থা হয়েছে। তাই আমি বলব এই দুটি সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং টাইম আমার ক্যারিয়ারে।
পিডিএস/এমএইউ