ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

ওয়ানডে সিরিজের ট্রফি উন্মোচন করেন বাংলাদেশের লিটন দাস ও নিউজিল্যান্ডের লকি ফার্গুসন

আসন্ন বিশ্বকাপে আত্মবিশ্বাসী হতে সফরকারী নিউজিল্যান্ডকে হারানোর লক্ষ্য নিয়ে আজ মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। একই ভেন্যুতে সিরিজের সবগুলো ম্যাচ শুরু হবে দুপুর ২টা থেকে। ঘরের মাঠে নিজেদের সর্বশেষ সিরিজে আফগানিস্তানের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল টাইগাররা। যা ছিল ২০১৫ সালের পর ঘরের মাঠে সাকিবদের তৃতীয় সিরিজ হার। এর মধ্যে একমাত্র ইংল্যান্ডের কাছে দুবার সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ।

আফগানিস্তান সিরিজের পর এশিয়া কাপে জ্বলে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। কিন্তু সুপার ফোর পর্বের শেষ ম্যাচে আসরের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারিয়ে স্মরণীয় সাফল্য অর্জন করে টাইগাররা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, নাজমুল হোসেন শান্তর মতো দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিয়েছে বিসিবি। দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে তামিম ইকবাল এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের। চলতি বছরের মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পর দল থেকে বাদ পড়া মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের কাছে এটি মূলত নিজেকে প্রমাণের মঞ্চ।

বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজটি তামিমের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপে জাতীয় দলে নিজেদের সুযোগ তৈরি করতে পারে এমন কিছু খেলোয়াড়দের নিয়ে এ সিরিজের জন্য দল সাজিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। নিউজিল্যান্ডও নিজেদের প্রথম সারির খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিয়েছে। আপাত দৃষ্টে মনে হচ্ছে উভয় দলই এমন কিছু খেলোযাড় রেখেছে যারা ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স দিয়ে জ্বলে ওঠার পাশাপাশি বিশ্বকাপ দলে সুযোগের জন্য নিজেদের অবস্থানকে আরো শক্তিশালী করে তোলা।

সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিবেন লিটন দাস। তার মতে, দল না জিতলে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তিনি বলেন, ‘আপনি পাঁচ উইকেট নিতে পারেন বা সেঞ্চুরি করতে পারেন, কিন্তু ম্যাচ হেরে গেলে এমন পারফরম্যান্স গুরুত্বপূর্ণ নয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘দেশের জন্য দলের হয়ে সিরিজ জয় করার চেয়ে বড় কিছু নেই। সিরিজ জয়ের জন্যই আমরা লড়াই করবো। আমরা আমাদের সেরা খেলাটাই খেলতে চাই।’

১৩ বছর ধরে বাংলাদেশকে নিজ মাটিতে হারাতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। সঙ্গত কারণেই এমন রেকর্ড সফরকারীদের জন্য মোটেও আত্মবিশ্বাসী করার মতো নয়। বাংলাদেশ সফরে সর্বশেষ ২০০৮ সালে টাইগারদের ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। এরপর ২০১০ সালে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে হারের লজ্জা পায় নিউজিল্যান্ড। সিরিজের একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছিল। জিম্বাবুয়ে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বাদ দিয়ে প্রথমবারের মতো শীর্ষ কোনো দলকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০১৩ সালে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। তবে সর্বশেষ ২০২১ সালে বাংলাদেশ সফরে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ কাছে ৩-২ ব্যবধানে হেরেছিল কিউইরা।

বাংলাদেশ সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া লুকি ফার্গুসন, ট্রেন্ট বোল্ট, রাচিন রবীন্দ্র, ইশ সোধি এবং উইল ইয়ংসহ বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়া মাত্র পাঁচ খেলোয়াকে ঢাকা পাঠিয়েছে নিউজিল্যান্ড।

ফার্গুসন বলেন, ‘বাংলাদেশে খেলার চ্যালেঞ্জ সর্ম্পকে আমরা জানি। নিজেদের কন্ডিশনে তারা খুবই শক্তিশালী দল। তবে আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো।’ সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৩৮টি ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড। এরমধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে ১০টিতে এবং হেরেছে ২৮টিতে। ওয়ানডে ফরম্যাটে সর্বশেষ ২০১৭ সালে কার্ডিফে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। অবিস্মরণীয় জয়ের পর নিউজিল্যান্ডের কাছে টানা ৭ ম্যাচে হেরেছে টাইগাররা। তবে হারের বৃত্ত থেকে বেড়িয়ে আসতে এটাই বাংলাদেশের সামনে সেরা সময় এবং নিজেদের মাঠে স্পষ্টতভাবে ফেভারিট টাইগাররা।

পিডিএস/মীর

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বাংলাদেশ,নিউজিল্যান্ড,ওয়ানডে সিরিজ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close