দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড
ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পথে বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পথ সুগম করল বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিমের ঝোড়ো শতকের পাশাপাশি লিটন-শান্তর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪৯ রান করে। ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে এটিই বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর। টাইগারদের পক্ষে মুশফিক ৬০ বলে ১০০ রান করেন। এছাড়া লিটন ও শান্ত করেন যথাক্রমে ৭০ ও ৭৩ রান।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তামিম ইকবালের পর নতুন এক রেকর্ড গড়েছেন মুশফিকুর রহিম। প্রথম ওয়ানডেতে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা মুশফিক দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন। ঝোড়ো ফিফটিতে তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৭ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি।
এর আগে, সোমবার (২০ মার্চ) আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তামিম ছুঁয়েছেন ১৫ হাজার আন্তর্জাতিক রানের মাইলফলক। বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটার তামিমের ধারেকাছেও নেই। ১৩ হাজারের ওপর রান আছে কেবল দুজনের-সাকিব ও মুশফিকের।
ব্যাটিংয়ের শুরুতে তামিমের বিদায়ের পর চাপ সামলে দলকে সামনে এগিয়ে নিচ্ছিলেন লিটন-শান্ত। দুজনের জুটির পঞ্চাশের পর দলীয় একশ' ছাড়ায় স্বাগতিকরা। ২১তম ওভারে হামফ্রিসকে ছক্কা মেরে ফিফটি পূর্ণ করেন লিটন। মাইলফলকে যেতে লিটনের লেগেছে ৫৪ বল। একই সঙ্গে পূরণ করেছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২ হাজার রান। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এই ম্যাচে লিটন ছাড়াও মাইলফলক স্পর্শ করেছেন টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
লিটনের বিদায়ের পর শান্তর সঙ্গে হাল ধরেন সাকিব। যদিও ১৯ বলে মাত্র ১৭ রান করেই ক্যাচ আউট হন তিনি। এরপর শান্তর সঙ্গে ব্যাটিং হাল ধরেন হৃদয়। সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত আউট হয়ে যান শান্ত। তবে দলের জন্য রেখে যান একটি বড় স্কোর।শান্তর জায়গায় ব্যাটিং হাল ধরেছেন মুশফিক। শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের খেলোয়ারদের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন তিনি। মাত্র ৬০ বলে করেন সেঞ্চুরি।
ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। সিলেটে টস জিতে এদিনও ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আয়ারল্যান্ড দলপতি আন্দ্রে বালবার্নি।
পিডিএসও/এমএ