গ্রুপপর্বে অপেক্ষাকৃত সহজ দুই প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নকআউটে নাম লিখিয়েছে নেদারল্যান্ডস। তাদের সামনে আজ শনিবার যুক্তরাষ্ট্র-পরীক্ষা। কাতারের খলিফা ইন্টারন্যাশন্যাল স্টেডিয়ামে কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে লড়বে দুই দল। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

গ্রুপপর্বে তিন ম্যাচে এক জয় আর দুই ড্র নিয়ে ওয়েলস আর ইরানকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয়পর্বে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রথম ম্যাচে তারা ১-১ গোলে ড্র করে ওয়েলসের সঙ্গে। পরের ম্যাচে ইংল্যান্ডের সঙ্গে গোলশূন্য ড্রয়ে ১ পয়েন্ট পায়। শেষ ম্যাচে ইরানকে ১-০ গোলে হারিয়ে ‘বি’ গ্রুপে রানারআপ হয় যুক্তরাষ্ট্র।

অন্যদিকে নেদারল্যান্ডস ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয়পর্বে পা রেখেছে। তিন ম্যাচের দুটিতে জয়, একটিতে ড্র করেছে তারা। প্রথম ম্যাচে সেনেগালকে ২-০ গোলে হারানোর পর ইকুয়েডরের সঙ্গে ১-১ ড্র করে। শেষ ম্যাচে স্বাগতিক কাতারকে ২-০ হারায় ডাচরা।

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের থেকে বেশ এগিয়ে নেদারল্যান্ডস। যুক্তরাষ্ট্রের র‌্যাঙ্কিং ১৬, নেদারল্যান্ডসের অবস্থান ৮-এ। তবে অতীতে দুই দলের মুখোমুখি একমাত্র লড়াইয়ে সেই র‌্যাঙ্কিংয়ের ছাপ পড়েনি। ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর নেদারল্যান্ডসকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছিল মার্কিনিরা।

বিশ্বকাপের ইতিহাস অবশ্য বেশ সমৃদ্ধ নেদারল্যান্ডস। ১১বার বিশ্বকাপ খেলা ডাচরটা ফাইনাল খেলেছে তিনটি- ১৯৭৪, ১৯৭৮, ২০১০ সালে। যদিও একবারও জিততে পারেনি, প্রতিবারই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে রানারআপ হয়ে।

অন্যদিকে ১১বার বিশ্বকাপ খেলেছে যুক্তরাষ্ট্রও। তাদের সেরা সাফল্য সেই ১৯৩০ সালে। সেবার তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিল মার্কিন দলটি।

আজ নকআউটের লড়াইয়ে পরিষ্কার ফেবারিট নেদারল্যান্ডসই। তবে এবার লুইস ফন গালের দল গ্রুপপর্বে বড় পরীক্ষায় পড়েনি। শেষ ষোলোতে যুক্তরাষ্ট্র কেমন চ্যালেঞ্জ উপহার দেয় ডাচদের, সেটাই এখন দেখার বিষয়! এইচএস