যেসব রেকর্ড হাতছানি দিয়ে ডাকছে সাকিবকে
পর্দা উঠেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। ব্যাট-বলের যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে ইতোমধ্যে। বাংলাদেশ দল মাঠে নামতে আর বেশি সময় বাকি নেই। বিশ্বকাপের এ মঞ্চে অংশ নেয়ার আগে দেশের ক্রিকেটের সেরা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসানকে হাতছানি দিয়ে ডাকঠে অজস্র রেকর্ড। যেসব রেকর্ড অর্জন করতে হলে স্বাভাবিক খেলাটাই খেলতে হবে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে।
বিশ্বকাপ টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ উইকেটের কীর্তিটা আছে শহিদ আফ্রিদির দখলে। ৩৪ ম্যাচ খেলে ৩৯ উইকেট শিকার করে বিশ্বকাপের উইকেট শিকারিদের তালিকার চূড়ায় বসে আছেন তিনি। সাকিবের সামনে আছে সে রেকর্ডটা। ২৫ ম্যাচে তার ঝুলিতে জমা পড়েছে ৩০ উইকেট। তার মানে দাঁড়াচ্ছে, আর ১০ উইকেট পেলেই আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ডটা নিজের করে নেবেন সাকিব।
সে রেকর্ডটা যদি নিজের করে নিতে পারেন সাকিব, তাহলে আরও বিশ্বরেকর্ডটাও এসে ধরা দেবে তার কাছে। ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতর ফরম্যাটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের কৃতিত্বটা লাসিথ মালিঙ্গার। ৮৪ ম্যাচে ১০৭ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। তার চেয়ে চারটি ম্যাচ বেশি খেলে সাকিবের শিকার ১০৬ উইকেট। আর দুটো উইকেট পেলেই মালিঙ্গাকে ছাড়িয়ে যাবেন সাকিব।
আর দুটো উইকেট পেলে সাকিবের রেকর্ড এখানেই শেষ হয়ে যাবে না। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে আর কোনো খেলোয়াড়ই কখনো কোনো ফরম্যাটের উইকেট শিকারির তালিকায় শীর্ষে উঠতে পারেননি, সাকিব এখানেও বনে যাবেন ‘প্রথম’।
আর দুটো উইকেট তাকে আন্তর্জাতিক আঙিনায় ৬০০ উইকেটের মাইলফলকও ছুঁইয়ে দেবে। সেটা হয়ে গেলে এমন এক কীর্তি গড়ে ফেলবেন তিনি, যার নজির ক্রিকেট ইতিহাসেই নেই আর। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২০০০ রান, আর ৬০০ উইকেটের ডাবল কীর্তি গড়বেন তিনি। গ্যারি সোবার্স, ইয়ান বোথাম, জ্যাক ক্যালিসদের মতো কিংবদন্তি অলরাউন্ডারদের ছোঁয়া পেয়েছে ক্রিকেট, তাদেরও নেই এমন রেকর্ড। খুব কাছাকাছি গিয়েছিলেন জ্যাক ক্যালিস, ১২ হাজারের ওপর রান তো ছিলই তার, সঙ্গে ছিল ৫৭৭ উইকেট। তাকে সাকিব ছাড়িয়ে গেছেন বহু আগেই, এবার নতুন এক কীর্তি গড়ার পালা।