অবশেষে গুঞ্জনই সত্যি হলো। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরমেটে আর অধিনায়কত্ব করবেন না বিরাট কোহলি। বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি ।

২০১৭ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির কাছ থেকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন কোহলি। এখন পর্যন্ত ভারতের ৪৫ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন ৩২ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। তাঁর অধীনে জিতেছে ২৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ এবং হেরেছে ১৪টিতে।

কোহলি এমন সিদ্ধান্তের পেছনে কারণ ব্যাখ্যা করেছেন, ৮-৯ বছর ধরে তিনি নিয়মিত খেলা আর ৫-৬ বছর ধরে অধিনায়কত্ব করে যাওয়ার চাপ, তিনি টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়কত্বের দিকেই পুরো মনোযোগ দিতে চান তাই ‘নিজেকে কিছুটা ছাড় দেওয়া উচিত’ বলে মনে করেছেন । আর বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতের কথা ভেবেই নেওয়া হয়েছে এমন সিদ্ধান্ত।

অন্যদিকে, বিসিসিআইয়ের দিকের কথা জানা গেছে সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী ও সচিব জয় শাহর বিবৃতিতে। সৌরভ বলেছেন, ‘বিরাট ভারত ক্রিকেটের সত্যিকারের এক সম্পদ। অনেক আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছে সে। সব সময়ই সে অন্যতম সফল অধিনায়ক। তবে ভবিষ্যতের রূপরেখার কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য আমরা বিরাটকে ধন্যবাদ জানাই। আসন্ন বিশ্বকাপ এবং এরপরও তার সাফল্য কামনা করি। আশা করি, ভারতের হয়ে অনেক অনেক রান করবে সে।

অন্যদিকে শাহ বলেছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই এ নিয়ে আলোচনা চলেছে, ভারত দলের জন্য আমাদের পরিষ্কার একটা রূপরেখা আছে। নেতৃত্বের পালাবদলের পথটা যাতে মসৃণ হয়, সে কারণে কাজের চাপের কথা বিবেচনা করে বিরাট কোহলি আসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিরাট ও দলের নেতৃস্থানীয় গ্রুপের সঙ্গে ছয় মাস ধরেই আলোচনা হয়েছে। যথেষ্ট ভেবেচিন্তেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিরাট খেলোয়াড় হিসেবে দলে থাকবে, সিনিয়র সদস্য হিসেবে ভারত ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ গঠনে অবদান রাখবে।

পিডিএসও/এমএ