০১ মার্চ, ২০২১

সুখস্মৃতি নিয়ে ফিরতে চাই

বিশ্বজুড়ে সড়ক দুর্ঘটনার হার বেড়েই চলেছে। অকালে ঝরছে বহু প্রাণ। সেটি রোধে ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ভারত। অবসরে যাওয়া ক্রিকেটারদের নিয়ে রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজের আয়োজন করছে দেশটি। আসরে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশ। আছে ইংল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলগুলোও। আগামী ৫ মার্চ পর্দা উঠবে আসরের। টুর্নামেন্টে অংশ নিতে আগেভাগেই ভারতে পা রেখেছে বাংলাদেশ লিজেন্ডস দল। মহৎ উদ্যোগের অংশ হতে আবার প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরাটা যেন টাইগারদের সোনালি অতীতই মনে করিয়ে দিচ্ছে। আয়োজক শহর রায়পুরে পৌঁছে বাংলাদেশ দলের অন্যতম সদস্য হান্নান সরকার প্রতিদিনের সংবাদকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মনের বাক্স খুলে বসলেন। তার সেইসব কথা নিয়ে এবারের আয়োজন-

প্রতিদিনের সংবাদ : এখন কীভাবে সময় কাটছে?

হান্নান সরকার : এখানে (রায়পুরে) এসেই সবাই আলাদা হোটেল রুমে বায়ো-বাবলে আছি। তবে তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কেননা ভারতে তো আগেও বাংলাদেশ বহু ম্যাচ খেলেছে।

প্রতিদিনের সংবাদ : আপনাদের প্রস্তুতি শুরু কবে?

হান্নান সরকার : ভারতে আসার পর সবারই কোভিড-১৯ টেস্ট করানো হয়েছে। রেজাল্ট নেগেটিভ এলেই অনুশীলন শুরু করব আমরা। প্রথম ম্যাচের আগে হয়তো দুদিন অনুশীলনের সুযোগ পাব।

প্রতিদিনের সংবাদ : এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী আসরে বাংলাদেশ ছিল না। এবার কীভাবে সুযোগ মিলল?

হান্নান সরকার : প্রথম আসরে ভারত বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবলেও শেষমেশ টুর্নামেন্টে রাখেনি। তাই এবার শুরু থেকেই তারা আমাদের রাখার চিন্তাভাবনা করেছে। তারা দল বাড়ানোর পরিকল্পনায় ছিল। সেই সুবাদেই আমাদের অংশগ্রহণ করা।

প্রতিদিনের সংবাদ : টুর্নামেন্টে আপনাদের প্রত্যাশা কতখানি?

হান্নান সরকার : দারুণ কিছু আশা করছি। কেননা গত মাসে আমরা কক্সবাজারে একটা টুর্নামেন্ট (লিজেন্ডস চ্যাম্পিয়নস ট্রফি) খেলেছি। সবাই ফর্মে আছেন। তাই খেলতে নামলে আমাদের অতটা অস্বস্তি লাগবে না। আমরা অবশ্যই সুখ স্মৃতি নিয়ে ফিরতে চাই।

প্রতিদিনের সংবাদ : টুর্নামেন্টে অংশ নিতে চলা সবাই তো খেলোয়াড়ি জীবনকে বিদায় বলেছেন। সে ক্ষেত্রে আবার প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরা কতটা কঠিন হতে পারে?

হান্নান সরকার : দেখুন, যারা ক্রিকেটার তারা খেলার বাইরে থাকলেও কোনো না কোনোভাবে এর সঙ্গেই সম্পৃক্ত। তা ছাড়া একজন সাবেক ক্রিকেটারের মনমানসিকতা সব সময় ক্রিকেটসুলভ থাকে। আমরা সবাই এখনো টুকটাক ক্রিকেট খেলি। তাই আশা করছি এখানে খেলতে তেমন অসুবিধা হবে না।

প্রতিদিনের সংবাদ : অনেক কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের বিপক্ষে খেলতে নামছেন। নিশ্চয়ই ভীষণ রোমাঞ্চিত?

হান্নান সরকার : লিজেন্ডদের সঙ্গে খেললে তো সব সময়ই আলাদা ভালো লাগা কাজ করে। আমরা যখন ক্রিকেট শুরু করি তখন শচীন টেন্ডুলকার, ব্রায়ান লারা, মুরালিধরন, জন্টি রোডসরা মহাতারকার পর্যায়ে চলে গেছেন। এনটিনি, কেভিন পিটারসেনরাও তারকা হওয়ার পথে। তাদের সঙ্গে আবার খেলতে পারাটা সত্যিই দারুণ ব্যাপার।

প্রতিদিনের সংবাদ : সড়ক দুর্ঘটনা রোধে এই টুর্নামেন্ট কতটা ভূমিকা রাখবে?

হান্নান সরকার : এই টুর্নামেন্টের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার শচীন টেন্ডুলকার। তিনি যদি মানুষকে কিছু বলেন, তাহলে মানুষ সেটা অবশ্যই শুনবে। তা ছাড়া এখানে যারা খেলতে আসছেন, সবাই তাদের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন। সবাই যদি তাদের দেশে রোড সেফটির সচেতনতায় প্রচার চালান, তবেই টুর্নামেন্টের আয়োজন সার্থক হবে।

প্রতিদিনের সংবাদ : শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ হলে কী বিষয়ে আলাপ করবেন?

হান্নান সরকার : দেখুন, শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে সবাই শিখতে চায়। এখন দেখা যাক যদি তার সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান কথা হয় কি না। কথা হলে অবশ্যই ক্রিকেটে নিয়েই কথা হবে। কেননা আমি তো এখন অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের সঙ্গে যুক্ত। আর ভবিষ্যতে কোচিং নিয়েও চিন্তাভাবনা আছে আমার। তাই শচীনের সঙ্গে আলাপ হলে অবশ্যই এসব বিষয়ে গভীরভাবে জানার চেষ্টা করব।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
হান্নাস সরকার,সুখস্মৃতি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close