পাকিস্তান সফরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ এক ম্যাচ বাকি থাকতেই হেরে গেল বাংলাদেশ। শনিবার দ্বিতীয় ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল হেরেছে ৯ উইকেটে। শুক্রবার প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ৫ উইকেটে। সোমবার হবে সিরিজের শেষ ম্যাচ।

এদিন লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে বাংলাদেশের দেওয়া ১৩৭ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ২০ বল বাকি থাকতে ৯ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।

স্বাগতিকরা ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৬ রানে প্রথম উইকেট হারায়। এরপর বাবর আজম ও মোহাম্মদ হাফিজ ১৩১ রানের জুটি গড়ে অপরাজিত থাকেন। ৪৪ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৬৬ রান করেন বাবর। ৪৯ বলে ৯টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৬৭ করেন হাফিজ। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মেহেদী হাসান ১টি উইকেট শিকার করেন।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ৫৩ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৬৫ রান করেন ওপেনার তামিম ইকবাল।

ম্যাচটিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ওপেনার নাঈম শেখকে হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ৫ রানে উইকেটরক্ষকের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ওয়ানডাউনে নামেন মেহেদী হাসান। দলীয় ২২ রানে তিনিও উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হন।

চার নম্বর পজিশনে নামেন লিটন। ১৪ বলে ৮ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। পরে তামিমের সঙ্গে জুটি বাঁধেন আফিফ। দুজনে মিলে ৪৫ রানের পার্টনারশিপ করেন।

১৫তম ওভারে আফিফ বিদায় নিলে তামিম ও রিয়াদের ব্যাটে এগোতে থাকে বাংলাদেশ। কিন্তু দলীয় ১১৭ রানে তামিম রান আউট হয়ে গেলে দলের রানের গতি কমতে থাকে। ইনিংসের শেষ ওভারে অধিনায়ক রিয়াদ বোল্ড হয়ে ফিরে যান। ১২ বলে ১২ রান করেন টাইগার অধিনায়ক।

পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে শাহীন আফ্রিদি ১টি, মোহাম্মদ হাসনাইন ২টি, হারিস রউফ ১টি ও শাদাব খান ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

ফল : ৯ উইকেটে জয়ী পাকিস্তান।

বাংলাদেশ ইনিংস : ১৩৬/৬ (২০ ওভার)

(তামিম ৬৫, নাঈম শেখ ০, মেহেদী হাসান ৯, লিটন ৮, আফিফ ২১, রিয়াদ ১২, সৌম্য ৫*, আমিনুল ৮*; ইমাদ ০/১৬, শাহীন ১/২২, হাসনাইন ২/২০, রউফ ১/২৭, শাদব ১/২৮, শোয়েব ০/৯, ইফতিখার ০/১২)।

পাকিস্তান ইনিংস : ১৩৭/১ (১৬.৪ ওভার)

(বাবর ৬৬*, আহসান ০, হাফিজ ৬৭*; মেহেদী হাসান ০/২৮, শফিউল ১/২৭, আল-আমিন হোসেন ০/১৭, মোস্তাফিজুর রহমান ০/২৯, আমিনুল ০/১৬, আফিফ ০/১৬, মাহমুদউল্লাহ ০/৩)।

ম্যাচ সেরা : বাবর আজম (পাকিস্তান)।

পিডিএসও/হেলাল