প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
চাঁদের পথে আর্টেমিস ওয়ান
বুধবার (১৬ নভেম্বর) সফল উৎক্ষেপণ নাসার চতুর্থবারের চেষ্টার ফসল। প্রথম দুবার কারিগরি জটিলতার কারণে শেষ মুহূর্তে উৎক্ষেপণ স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছিল নাসা। আর তৃতীয়বার সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বৈরী আবহাওয়া।
বুধবার বিপত্তি ঘটেছিল এসএলএস রকেটের কোর স্টেজে তরল হাইড্রোজেন সরবরাহের লাইনে; তরল জ্বালানি সরবরাহের লাইনে ফুটো সারাতে লঞ্চপ্যাডে সশরীরে হাজির হয়েছিলেন নাসার ‘রেড ক্রু’ দলের প্রকৌশলীরা। নাট-বল্টু টাইট দিয়ে লিক বন্ধ করে লাইভ প্রচারে ‘থাম্বস আপ’ দেখিয়ে জানান দেন, জটিলতার সমাধান করে ফেলেছেন তারা। তারপর লঞ্চপ্যাডের আশপাশে নজর রাখা রেডার জটিলতায় উৎক্ষেপণ সাময়িকভাবে স্থগিত করার নির্দেশ আসে কন্ট্রোল রুম থেকে। সে সময় প্রশ্ন উঠেছিল, আবারও কি ভেস্তে যাবে আর্টেমিস ওয়ানের যাত্রা।
সব জটিলতার সমাধান করে দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ উৎক্ষেপণের সবুজ সংকেত আসে নাসার কন্ট্রোল রুম থেকে। ৪০ মিনিট বিলম্বে ১২টা ৪৭ মিনিটে গর্জে ওঠে এসএলএসের রকেট ইঞ্জিনগুলো।
উৎক্ষেপণের ২ ঘণ্টার মাথায় ভূপৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার মাইলের বেশি উচ্চতায় চাঁদের দিকে ধেয়ে যাচ্ছিল আর্টেমিস ওয়ান মিশনের মূল স্পেসক্র্যাফট ওরিয়ন, গতি ছিল ঘণ্টায় ২ হাজার মাইলের বেশি।
বুধবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ৪৭ মিনিটে সফল উৎক্ষেপণ মিশনের লঞ্চ ডিরেক্টর চার্লি-ব্ল্যাকওয়েল থম্পসন উদযাপন করেছেন নিজের টাই কেটে; নাসার পুরোনো প্রথা এটি।
কোনো মানব নভোচারী নেই এ মিশনে, চাঁদেও নামবে না কোনো মহাকাশযান। ওরিয়ন স্পেসক্র্যাফটকে প্রথমে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে পৌঁছে দেয় সর্বাধুনিক ‘স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (এসএলএস)’ রকেট। আর চাঁদকে ঘিরে চক্কর দিয়ে পৃথিবীতে ফিরবে ওরিয়ন। কিন্তু এ মিশনের আসল গুরুত্ব অন্য জায়গায়। মহাকাশ যাত্রার ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে আর্টেমিস ওয়ান।