নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৬ নভেম্বর, ২০২২

ডিজিটালে সফলতা অর্জন করেছি-জুনাইদ পলক

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

বিশ্ববিদ্যালয়-পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কম্পিউটার প্রোগ্রামিং সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে সম্মানজনক এবং মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ‘ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্টের (আইসিপিসি)’ এবারের হোস্ট কান্ট্রি হচ্ছে বাংলাদেশ। প্রায় প্রতি বছরই তরুণ প্রজন্মের জন্য বিশেষভাবে আয়োজিত হয় এই কনটেস্ট, যার যাত্রা শুরু হয় ১৯৭০ সাল থেকে। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের নেতৃত্বে আইসিপিসির ৪৫তম আসরের নির্বাহক এজেন্সি বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এবং বাংলাদেশ থেকে হোস্ট ইউনিভার্সিটি ‘ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (ইউএপি)’।

আইসিপিসি ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এবং হোস্ট ইউনিভার্সিটি হিসেবে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (ইউএপি) ৪৫তম আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস্ ঢাকা’র মূল আয়োজক। এরই মধ্যে বাংলাদেশে এই আয়োজন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব ধরনের কার্যক্রম সমাপ্ত হয়েছে এবং চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

মঙ্গলবার দুপুরে এই অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করা হবে।

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আইসিপিসি আয়োজনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোসহ কী কী আয়োজন থাকছে তার বিস্তারিত তুলে ধরা হয় প্রেসব্রিফিং অনুষ্ঠানে। রবিবার (৬ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি অডিটোরিয়ামে ‘আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস ঢাকা’ আয়োজনকে ঘিরে ‘প্রেসব্রিফিং’ আয়োজন করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। অনুষ্ঠানের প্রেসব্রিফ করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ফাউন্ডেশনের সভাপতি এবং আইসিপিসি নির্বাহী পরিচালক ড. উইলিয়াম বি. পাউচার।

অন্যদের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ, আইসিপিসির উপনির্বাহী পরিচালক ও আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস কনটেস্টের পরিচালক ড. মাইকেল জে. ডোনাহু, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য ও আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস ঢাকার পরিচালক অধ্যাপক কামরুল আহসান, হুয়াওয়ের করপোরেট কমিউনিকেশনস বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ড ভিকি ঝ্যাং, জেট ব্রেইনের বিনিয়োগ বিভাগের এসভিপি এবং গবেষণা ও শিক্ষাবিষয়ক বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট অন্ড্রে ইভ্যানভ এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার ওই প্রেসব্রিফিংয়ে অংশ নেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এ আয়োজনটি আইসিটিতে আমাদের সক্ষমতা প্রদর্শনের দারুণ একটি সুযোগ। একই সঙ্গে আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ আইসিটি নেতৃত্বদের বর্তমান নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে দেওয়ারও একটি সুযোগ। আমরা আমাদের সব বন্ধুকে বাংলাদেশের সৌন্দর্য ও আতিথেয়তার স্বাদ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

পলক আরো বলেন, ১৩ বছরে আইসিটি খাতে আমাদের অনেক উন্নতি হয়েছে। ১৩ বছর আগে আমাদের মাত্র ৫ মিলিয়ন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল, যা এখন ১৩০ মিলিয়ন। ১৩ বছর আগে কোনো আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি ছিল না, প্রযুক্তি খাতে রপ্তানি ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলার। এখন সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার এবং সার্ভিস সেক্টর থেকে সব মিলিয়ে প্রতি বছরে সেটি ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশ হলো অনলাইন সোর্স অব ওয়ার্কারের তালিকায় দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। সবশেষে তিনি বলেন আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হওয়ার সফলতা অর্জন করেছি এবং সেই সফলতার ভিত্তিতে ২০৪১ সালের মধ্যে এখন আমরা টেকসই, জ্ঞাননির্ভর ও সৃজনশীল ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে চাই।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পলক,প্রযুক্তি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close