reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ রূপকল্প নিয়ে আইসিটি বিভাগের সেমিনার

ছবি: সংগৃহীত

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর যে রূপকল্পের যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর সেই ‘রূপকল্প ২০২১’ এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। দেশের সাধারণ জনগণ এখন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর সুফল উপলব্ধি করছে। আইসিটি অবকাঠামো বিনির্মাণের ইতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ কোভিড-১৯ মহামারী কালে বুঝতে পেরেছে। জীবনযাত্রা সচল রাখতে আইসিটির অবকাঠামোসমূহ ব্যবহার করে মানুষ কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলা করেছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে প্রধানমন্ত্রী “স্মার্ট বাংলাদেশ” এর ‘রূপকল্প ২০৪১’ ঘোষণা দিয়েছেন। এই রূপকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তৃণমূলপর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও আইসিটি অবকাঠামো নির্মাণ ও এর ব্যবহার সম্প্রসারণের জন্য ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি) প্রকল্প চালু করেছে। প্রকল্পটির লক্ষ্য সরকারের দক্ষতা উন্নত করা, তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত ভৌত অবকাঠামো শক্তিশালী করা, প্রতিভা কাজে লাগানো, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করা, জনগণের ডিজিটাল জীবনকে সহজ করা এবং আইসিটির উন্নয়নের মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুতি নেয়া। এর মাধ্যমে ২০৪১ সালের বাংলাদেশকে একটি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এ রূপান্তরিত করা।

ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি) প্রকল্পের অঙ্গসমূহ (যা বাস্তবায়ন করা হবে): ১। প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপনঃ ১,০৯,২৪৪ টি এন্ড-ইউজার কানেক্টিভিটি স্থাপন করা হবে। ২। শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবঃ ১০,০০০ টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব তৈরি করা হবে। ৩। বিশেষায়িত ল্যাবঃ ৫৭ টি বিশেষায়িত ল্যাব ও ভবিষ্যৎ শিল্প বিপ্লব কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা। ৪। আইসিটি অবকাঠামোঃ ৫৫৫ টি জয় ডি-সেট সেন্টার স্থাপন করা হবে। ৫। সিআরভিএস : কেন্দ্রীয় ডাটা সেন্টার, সফটওয়ার প্লাটফর্ম, ১৭,৩১৪ টি সার্ভিস ডেলিভারি ডিভাইস ও ৫,৫০০ টি এনরোলমেন্ট ডিভাইস বিতরণ করা হবে। ৬। ডিজিটাল ভিলেজঃ ১০ টি গ্রাম কে ডিজিটাল ভিলেজে রূপান্তর। ৭। ডিও আইসিটি টাওয়ারঃ ২১ তলা বিশিষ্ট ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার স্থাপন।

ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি) প্রকল্পের উপরোক্ত অঙ্গসমুহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে “স্মার্ট বাংলাদেশ”-এর কার্যক্রম ত্বরান্বিত হবে। ফলে বিশ্বের সামগ্রিক উন্নয়নের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ নিজস্ব স্বকীয়তায় পৌঁছে যাবে এক অনন্য উচ্চতায়। সেমিনারের মূল আলোচ্য বিষয় হল “স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন প্রকল্পের ভূমিকা”।

সেমিনারের প্রধান অতিথি, আইসিটি ডিভিশনের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন প্রকল্পের ভূমিকা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ইডিসি প্রকল্পটি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে অবকাঠামো নির্মাণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী (সাবেক) সেলিমা খাতুন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এর রূপকল্প, তার প্রয়োজনীয়তা ও তার বাস্তবায়ন নিয়ে বক্তব্য দেন

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি, ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব) ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন প্রকল্পের কার্যক্রম ও প্রকল্পের গুরুত্ব নিয়ে পর্যালোচনা করেন। তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নে অংশীজনদের বিশেষ করে মাঠ পর্যায়ের সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক মোঃ মোস্তফা কামাল। তিনি প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অংশীজনদের সার্বিক সহযোগিতা এবং মাঠ পর্যায়ে যে যে সরকারী দপ্তর/সংস্থা সম্পৃক্ত থাকবেন তাদের সবাইকে ২০৪১ সালের ‘ স্মার্ট বাংলাদেশ’ এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের ভূমিকা রাখার জন্য গুরুত্বারোপ করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
‘স্মার্ট বাংলাদেশ,আইসিটি,সেমিনার
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close