reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৭ মার্চ, ২০২৩

জুমার দিনে মুমিনের করণীয় আমল

প্রতীকী ছবি

মুসলমানদের জন্য জুমার দিন হচ্ছে সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। এই দিনের ফজিলত সম্পর্কে বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর নিকট অধিক মর্যাদাপূর্ণ। (ইবনে মাজাহ: ১০৮৪)

আরও ইরশাদ হয়েছে, মুমিনের জন্য জুমার দিন হলো সাপ্তাহিক ঈদের দিন। (ইবনে মাজাহ: ১০৯৮)

তাই জুমাবার ও জুমার নামাজ মুসলমানের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, হে মুমিনরা! জুমার দিন যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে এসো এবং বেচাকেনা বন্ধ করো, এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা বুঝ..। (সুরা জুমা: ৯)

জুমার দিনের বেশকিছু আমল ও আদব রয়েছে। এর মধ্যে একটি বিশেষ আমল হলো আল্লাহ তাআলার কাছে একাগ্রচিত্তে দোয়া করা। কারণ এই দিনটি দোয়া কবুলের দিন। এদিনের দোয়া বিশেষভাবে কবুল করা হয়। এছাড়াও বান্দাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। তাই জুমার দিন দোয়া থেকে গাফেল হওয়া কোনোভাবেই উচিত নয়।

জুমাবারে দোয়া কবুলের দলিল : আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল (স.) বলেছেন, জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, সেই সময়টায় যদি কোনো মুসলিম নামাজ আদায়রত অবস্থায় থাকে এবং আল্লাহর কাছে কিছু চায়, আল্লাহ অবশ্যই তার সে চাহিদা বা দোয়া কবুল করবেন এবং এরপর রাসুল (স.) হাত দিয়ে ইশারা করে সময়টির সংক্ষিপ্ততার ইঙ্গিত দেন। (বুখারি: ৬৪০০)

আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, জুমাবারে এমন একটি সময় আছে, যেটাতে বান্দা আল্লাহর কাছে কোনো দোয়া করলে আল্লাহ তাকে তা দিয়ে থাকেন। (মুসান্নাফ: ৫৫৮৮)

আসরের শেষ সময় দোয়া কবুল হয় : জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (স.) বলেন, জুমার দিনের বারো ঘণ্টার মধ্যে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে যদি কোনো মুসলিম এ সময়ে আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, তাহলে মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাকে দান করেন। এ মুহূর্তটি তোমরা আসরের শেষ সময়ে অনুসন্ধান করো। (আবু দাউদ: ১০৪৮)

জেনে রাখা জরুরি যে, আসরের শেষ সময় বলতে সূর্য ডোবার আগ-মুহূর্তে। আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) বর্ণনা করেন, শুক্রবারে আসরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দোয়া কবুল হয়। বিখ্যাত সিরাতগ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে, জুমার দিন আসরের নামাজ আদায়ের পর দোয়া কবুল হয়। (জাদুল মাআদ: ২/৩৯৪)

ইমাম আহমদ (রহ.)-ও আসরের পর বিশেষভাবে দোয়া কবুল হওয়ার কথা বলেছেন। বিখ্যাত হাদিসের গ্রন্থ তিরমিজি শরিফের ২য় খণ্ডের ৩৬০ নং পৃষ্ঠায় তাঁর সবিশেষ কথাটি উল্লেখ আছে।

দরুদ পাঠের বিশেষ ফজিলত : দোয়ার সঙ্গে সঙ্গে জুমার দিনে নবীজির ওপর দরুদ পাঠও মহান ইবাদত। কেননা রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা জুমার দিনে আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো, কেননা তোমাদের পাঠকৃত দরুদ আমার সামনে পেশ করা হয়। (আবু দাউদ: ১০৪৭)

পিডিএস/এমএইউ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পবিত্র,শুক্রবার,জুমা,দোয়া,জিকির,আমল
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close