reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

কী কী কারণে ঈমান কমে যায়?

প্রতীকী ছবি

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মতে সৎকাজের মাধ্যমে বান্দার ঈমান বৃদ্ধি পায় এবং পাপ কাজের মাধ্যমে ঈমান কমে যায়। এব্যাপারে কুরআন ও সহীহ হাদীছে অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে।

প্রথম কারণ : আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সম্পর্কে অজ্ঞ থাকা ঈমান কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। কেননা আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যতই কমবে, ঈমানও তত কমতে থাকবে।

দ্বিতীয় কারণ : সৃষ্টিতে ও শরীয়তে আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে গবেষণা করা থেকে বিরত থাকা। কেননা আল্লাহর সৃষ্টিতে চিন্তা-ভাবনা না করা ঈমানের ঘাটতি হওয়ার অন্যতম কারণ।

তৃতীয় কারণ : গুনাহের কাজে লিপ্ত হওয়া। কেননা গুনাহের কাজ করলে অন্তরে এবং ঈমানের উপর বিরাট প্রভাব পড়ে। এই জন্যই নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘ব্যভিচারী ঈমান থাকা অবস্থায় ব্যভিচারে লিপ্ত হতে পারে না।’

চতুর্থ কারণ : সৎ আমল না করা ঈমান হ্রাস পাওয়ার অন্যতম কারণ। কিন্তু যদি বিনা কারণে কোনো ওয়াজিব কাজ ছেড়ে দেয় তাহলে ঈমান কমার সাথে সাথে সে শাস্তির সম্মুখীন হবে।

অবশ্য গ্রহণযোগ্য কারণে ওয়াজিব ছেড়ে দিলে অথবা ওয়াজিব নয় এমন কাজ ছেড়ে দিলে ঈমানের ঘাটতি হবে, কিন্তু শাস্তির সম্মুখীন হবে না।

এই জন্যই রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মহিলাদেরকে জ্ঞান ও দ্বীনের ক্ষেত্রে অপূর্ণ বলেছেন। এর কারণ হিসাবে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, তাদের যখন মাসিকের রক্ত বের হয়, তখন তারা নামায-রোযা থেকে বিরত থাকে। অথচ মাসিক অবস্থায় নামাজ-রোজা থেকে বিরত থাকার কারণে তাদেরকে দোষারূপ করা হয় না। বরং তা থেকে বিরত থাকার আদেশ দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী শরিয়তের বিধানের ক্ষেত্রেও কিছু কিছু জায়গায় তাদের থেকে পুরুষকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

পরিত্রাণের কয়েকটি উপায় : ঈমান কমা থেকে অনেক কৌশলেই নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা যায়। তার মধ্যে কয়েকটি উপায় হলো-

১. ওয়াস্‌ওয়াসার রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আদেশ মোতাবেক শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকতে হবে এবং আল্লাহর কাছে শয়তানের প্ররোচনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করবে।

২. বেশি করে আল্লাহর স্মরণে মগ্ন থাকতে হবে। কেউ দুনিয়াবি কাজে লিপ্ত হলে সেই কাজ সওয়াবের নিয়তে আত্মতৃপ্তির সঙ্গে করবে। এটাও আল্লাহর স্মরণেরই অংশ।

৩. আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে অধিক হারে এবাদতে লিপ্ত থাকবে। যখনই বান্দা পরিপূর্ণরূপে এবাদতে মশগুল থাকবে, ইনশাআল্লাহ এ ধরনের কুচিন্তা দূর হয়ে যাবে।

৪.এই রোগ থেকে আল্লাহর কাছে আরোগ্য লাভের জন্য আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দু’আ করবে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ঈমান,মুমিন,নামাজ,রোজা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close