নিজস্ব প্রতিবেদক
চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে পেটালেন বিএনপি নেতা

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে জখম করেছেন। দাবি করা চাঁদা না দেওয়ায় ওই ব্যবসায়ীকে পেটানো হয়েছে বলে জানা গেছে। ঢাকার মতিঝিল এলাকার ক্ষুদ্র প্রিন্টিং ব্যবসায়ী আহত এনামুল হাসান রোমানের বাবা মুজিবুর রহমান এ বিএনপি নেতাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে কুমিল্লার বাঙ্গরাবাজার থানায় মামলা করেছেন। এছাড়া গত বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার বাঙ্গরাবাজার ৭ নম্বর বাঙ্গরা (পশ্চিম) ইউনিয়নের দিঘীরপাড় এলাকার বাসিন্দা মুজিবুর রহমানের ছেলে এনামুল হাসান রোমানকে কোপানোর অপরাধে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ঢাকার মতিঝিল এলাকার ক্ষুদ্র প্রিন্টিং ব্যবসায়ী আহত এনামুল হাসান রোমান গত বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।
আসামিরা হলেন- শওকত প্রকাশের ছেলে বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন অঞ্জন এবং তার ভাই বাদল ও তুহিন। এছাড়া অন্য আসামির মধ্যে রয়েছেন বাবু, ঈশান, শাহ আলমের ছেলে পলাশ ও কাগাতুয়া এলাকার মোহাম্মদ আলী। আহত এনামুল হাসান রোমান ও তার বাবা সংবাদ সম্মেলনের পাশাপাশি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এতে রোমান উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কর্মী হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকার পতনের পর মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন চেয়ারম্যানের ক্যাডার বাহিনী তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
২৪ জানুয়ারি বিকেলে ৬ নম্বর বাঙ্গরা (পূর্ব) ইউনিয়ন বিষ্ণুপুর বাজারে মহিউদ্দিন অঞ্জন এবং তার এক ভাই আওয়ামী দোসর সালাউদ্দিন বাদল এবং অন্য এক ভাই সাইফুদ্দিন তুহিন ওরফে ভোটকা তুহিন তাদের সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী নিয়ে তার প্রাইভেট কার গতিরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্য হামলা করে তাকে গুরুতর আহত করে এবং ব্যবহৃত গাড়ি ভেঙে ফেলে।
রোমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আহত হওয়ার পর দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন, অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার নিতে রেফার করেন। আমার বাবা বাঙ্গরাবাজার থানায় বাদী হয়ে অভিযোগ করেন।
পরে থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগ থেকে বিএনপি নেতাকে বাদ দিলে আমরা আদালতে যাই। জিআর ১৭/২৫ মামলা নং-১৭। অঞ্জন পরিবার এলাকায় একটি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু ও মাফিয়া হিসেবে পরিচিত, অঞ্জন বাহিনীর কাছে ৭ নম্বর বাঙ্গরা (পশ্চিম) ইউনিয়নবাসিসহ পুরো উত্তর মুরাদনগর বাসি জিম্মি। মামলা তুলে না নিলে আসামিরা প্রকাশ্যে দিবালোকে আমার পুরো পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমি এটার প্রতিকার চাই।’