‘খেলার মাঠে কোনো রাজনীতি নয়’
খেলার মাঠে কোনো রাজনীতি নয়, রাজনীতি ছাড়া খেলা হয় না। শহীদ জিয়াউর রহমান বাচ্চাদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য স্বাধীনতার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু আজকে আমরা খেয়াল করছি, ভিতরে শকুন গুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। বাইরের শকুন গুলো ওত পেতে আছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা আব্বাস বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান একজন ক্রীড়া অনুরাগী ব্যক্তিত্ব মানুষ ছিলেন। এই ক্রীড়া জগৎ থেকে আমরা অনুপ্রেরণা পেয়েছি। ঢাকা শহরে থেকে থেকে গ্রামীণ পরিবেশের খেলাধুলা ভুলে যেতে শুরু করেছিলাম কিন্তু ভাগ্যক্রমে লালমনিরহাটের যে আয়োজন এটি আমাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। সত্যিই আমরা অনেক মুগ্ধ আশ্চর্য হয়েছি।
তিনি বলেন, আমাদের পরিবার পরিজন দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে প্রতিবেশী দেশ থেকে হুংকার দিয়েছে। সেনাবাহিনীকে রেডি থাকতে বলেছে। আমরা ছোট একটি দেশ, অনেকেই বলে গরিবের দেশ কিন্তু এটি গরিবের দেশ নয়। যারা বিশৃঙ্খলা পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে তাদের এই চেষ্টা কখনোই সফল হবে না। আমাদের নেতা তারেক রহমান। তিনি সুদূর লন্ডন থেকে আমাদের পরিচালনা করছেন। তার সুদূর নেতৃত্বে আমরা উচ্চতায় যাবো।
একই অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, প্রায় ১৬/১৭ বছর পর আমরা উন্মুক্তভাবে আনন্দ করতে পারছি। এই আনন্দ উদ্দীপনা সৃষ্টির মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। যার কারণে আমরা উপভোগ করছি।
তিনি বলেন, আগামী বাংলাদেশ গড়ার নেতৃত্বে তারেক রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া দিবেন। তাদের নেতৃত্ব আমরা রয়েছি এক এবং ঐক্যবদ্ধ। ইনশাআল্লাহ তারেক জিয়ার নেতৃত্বেই জাগ্রত হবে বাংলাদেশ।
শহীদ জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা বিএনপি’র কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবীব দুলুর সভাপতিত্বে লালমনিরহাট অংশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।