`সংস্কারের জন্য যেন নির্বাচন বিলম্ব না হয়'
সংস্কার করুন, কিন্তু এমন সংস্কারে হাত দিয়েন না, যে সংস্কারের নামে নির্বাচন বিলম্বিত হবে। এমন সংস্কার করতে যাবেন না, যার জন্য আবার একটি চক্র বাংলাদেশের গনতন্ত্রকে নস্যাৎ করার পরিকল্পনা করতে পারে, এমন মন্তব্য করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবেদিন ফারুক।
মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র ও প্রশাসনের সকল পর্যায় থেকে ফ্যাসিস্ট দোসরদের সমূলে উৎখাতের’ দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফারুক বলেন, আমরা নির্বাচন চাই। ১৬ বছর আওয়ামী লীগ দেশ শাসন করে গনতন্ত্র ধ্বংস করেছে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে, কত মায়ের বুক খালি করেছে, আয়নাঘর তৈরি করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। শেখ হাসিনার দোসররা মন্ত্রাণালয়সহ নানা জায়গায় এখনো কাজ করছে তাদের কেন পদায়ন করে রেখেছেন বলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রশ্ন রাখেন তিনি।
ফারুক আরও বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ আবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এই অস্থিরতা করার সুযোগ দেওয়া যাবে না। অবিলম্বে এদের পদায়ন বাতিল ও অপসারণ করার দাবি জানান তিনি।
সাবেক চিফ হুইপ আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মনে করে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় দরকার তবে তা যেন ফখরুদ্দিন-মঈন এর মত সময় না হয়।
তিনি দ্রুত রোড ম্যাপ দেওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শক্তি দেশের মানুষ যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে, ১৬ বছর আওয়ামী লীগের অত্যাচার সহ্য করেছে, তাদের নির্বাচন মূখি করার কথা বলেন। নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গেছে তা রুখে দিতে হবে।
এ সময় তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার ও বিএনপির ৪০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও মঞ্জুর হোসেন ঈসার সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, জাগপার সহ সভাপতি রাশেদ প্রধান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাওলানা নেসারুল হক, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক চৌধুরী প্রমুখ।