`৭ নভেম্বর আবারও ছুটি ঘোষণা করতে হবে'
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু জানিয়েছেন, ৭ নভেম্বর আবারও ছুটি ঘোষণা করতে হবে।
তিনি বলেছেন, ৭ নভেম্বর স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সিপাহী জনতা জিয়াউর রহমানকে জেলখানা থেকে উদ্ধার করে ভারতীয় আধিপত্যবাদ থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করেছিল। এর পর দেশে ৭ নভেম্বর ছুটি ছিল। শেখ হাসিনার অবৈধ সরকার ক্ষমতায় এসে সেই ছুটি বাতিল করেছে। আওয়ামী লীগের পতনের পর এখন ৭ নভেম্বরের ছুটি পুনরায় চালু করা সময়ের দাবি।
দুলু বলেন, আওয়ামী লীগের করা চারটি নির্বাচনই অবৈধ। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের সাবেক এমপিরা মেম্বার এবং মন্ত্রীরা চেয়ারম্যান হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। তাই আওয়ামী লীগ সরকারের করা অবৈধ চারটি নির্বাচনই বাতিল করতে হবে, যেন সেই আমলের কেউ ভবিষ্যতে নিজেদের সাবেক এমপি মন্ত্রী পরিচয় দিতে না পারে। তিনি বলেন, গত ১৬ বছর শেখ হাসিনা ও তার দল সারা দেশে হত্যা-খুনে নিজের হাত রক্তে রঞ্জিত করেছে। এখনো তাই স্বভাবসুলভভাবে পাশের দেশে বসে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষকে হত্যা করে দেশে প্রবেশের দুঃস্বপ্ন দেখছে। অবিলম্বে শেখ হাসিনার গণহত্যাসহ সকল মামলার বিচার শুরু করতে হবে এবং তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।
শুক্রবার বিকেলে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুলু এসব কথা বলেন। স্থানীয় উজানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে খাজুরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) শহিদুল ইসলাম বাচ্চু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, দুলুর সহধর্মিণী ছাবিনা ইয়াসমিন ছবি, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহিন, কাজী শাহ আলম, নলডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আতিকুল ইসলাম তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বুলবুল ও সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার আফজাল হোসেন প্রমুখ।
জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুলু আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।
তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার গত ১৫ বছরে তার নিয়োগ দেওয়া দলীয় আমলাদের মাধ্যমে এখনো দেশের প্রশাসন, পুলিশ ও বাজারসহ সব নিয়ন্ত্রণ করার অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মাঝে মাঝেই তারা গার্মেন্টস সেক্টরে অরাজকতা সৃষ্টি করে অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের যে অপচেষ্টা করছে তা শক্ত হাতে রুখে দিতে হবে। দেশের আপামর ছাত্র-জনতাকেও পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা এবং তার দোসরদের বিষয়ে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে।